আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধি:-
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার জামালপুরের তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়।
নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। মঙ্গলবার বেসরকারি ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী জামালপুরের বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন।
দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বকশিগঞ্জ উপজেলায় চার প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯৮ জন। পনের ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম জামানত হারাচ্ছেন।
এই নির্বাচনে সর্বমোট ৬৮ হাজার ৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩৬৮ ভোট। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৬৩৮ ভোট। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৪ হাজার ৫৩৪ ভোটের। কিন্তু বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম (আনারস) প্রতীকে ৩ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৬.৬৫%।
এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯০৭ জন।
নির্বাচনে সর্বমোট ৮৪ হাজার ৬৫৫ ভোট কাস্টিং হয়েছে। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩১৯ ভোট। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৩৩৬ ভোট। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ হাজার ৬৪৪ ভোটের। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ান মো. ইমরান (আনারস) প্রতীকে ৫হাজার ৪৮৫ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন । প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৮.১৫%।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ১৫শতাংশ ভোট পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত ফেরত পাবেন না। ফলে জামালপুরের বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাবেন।