আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধিঃ-
দেশে চলমান স্বাস্থ্যগত দুর্যোগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে জামালপুরে সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে শহরে শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
সকাল ১১টায় বাহিনীর সদস্য এবং সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে ডিসি পার্ক থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আনসার ভিডিপি জেলা কার্যালয়ে এসে সমাপ্ত হয়। শোভাযাত্রার পাশাপাশি সড়কে চলাচলকারী জনগণের মাঝে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। শোভাযাত্রায় বাহিনীর সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট মোজাফ্ফর আলী, জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, আনসার ভিডিপির সদর উপজেলা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রশিক্ষক রাহাদ হাসান, হাবিলদার আব্দুল আজিজসহ বাহিনীর শতাধীক সদস্য অংশ নেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনী জামালপুর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে বুধবার(৯ আগস্ট) শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করলেও ২ আগস্ট থেকে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, মশানিধনসহ বিভিন্নভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে বাহিনী সূত্র জানায়।
জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ মিজানুর রহমান জানান বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় জামলপুরে আপামর জনসাধারণকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করতে শোভাযাত্রা ও সারা জেলায় ৪০০০টি লিফলেট বিতরণ করা হয়। অপরদিকে খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথা ভাবুন’ এ শ্লোগান সামনে রেখে বুধবার জামালপুর সদর উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উত্তম কুমার।
উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুয়েল আশরাফ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, এপি ব্যাবস্থাপক মিনারা পারভীন, সিংহজানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ আকন্দ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুর রাহিম। সভায় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগণ অংশ নেন।
সভার শুরুতেই জামালপুর সদর উপজেলার পুষ্টি পরিস্থিতি উপস্থাপন করা হয়। বক্তারা বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সমাজ থেকে পুষ্টিহীনতার মারাত্মক অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি মানুষকে পুষ্টিজ্ঞান আহরণ করতে হবে। বাড়ির আঙ্গিনায় শাক,সবজি ও ফলমূলের চাষ করতে হবে। গর্ভবতী ও প্রসুতী মায়ের সর্বোচ্চ যত্ন নিতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের মতো অন্যান্য এনজিওদের এগিয়ে আসতে হবে।