আবুল কাশেম জামালপুরঃ-
জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ সকল নদ-নদী ও জলাশয় ভরাট, দখল, দূষণ রোধ, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরর দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় শহরের ফৌজদারী মোড়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জামালপুর জেলা শাখা, ধরা ও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বাপার উপদেষ্টা মজনু মোল্লার সভাপতিত্বে, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উপদেষ্টা আমির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর সেলিম, স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ, জ্যোৎস্না বেগম, কালু মিয়াসহ স্থানীয় পরিবেশ কর্মী ও সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাপা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক।
এসময় বক্তারা বলেন, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন এবং অবৈধভাবে জলাভূমি ও পুকুর ভরাটের মত পরিবেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড জামালপুরসহ সারাদেশে অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখের সংযোগ পুণস্থাপন করা, অপরিকল্পিত ড্রেজিং বন্ধ করে যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা, অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে নদের তীর নির্ধারণ ও সীমানা পিলার স্থাপন করার দাবি করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, শহরের বেপারীপাড়ায় নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ রোধ করতে হবে, ঝিনাইয়ের উৎসমুখ সংযোগ পুণস্থাপন এবং ঝিনাই নদীর প্রবাহ পুণস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ, মনোরম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নদীর তীর গড়ে তোলা, পর্যটনের জন্য পর্যটন মোটেল স্থাপন এবং অন্যান্য স্থাপনাগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া বাপা জেলা কমিটির উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম জেলা স্কুলের পশ্চিম পাশের ঐতিহাসিক মাঠের বৃক্ষ নিধন এবং জাহেদা শফির মহিলা কলেজের পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন এসব কর্মকাণ্ড শুধু পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে না বরং প্রাণীকুল এবং মানুষের জীবনে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান। এছাড়া তিনি নদী ভরাটসহ নাওভাঙ্গা চরের দরিদ্র কৃষকদের আবাদী জমি দখল করে যাদের বাস্তুহারা করা হয়েছে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ জমি ফেরত দেয়ারও দাবী জানান।
মানববন্ধন শেষে জামালপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে বাপার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।