
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার ফুলতলায় এক স্কুল ছাত্রীর সাথে বিএনপি নেতা সেলিম মেম্বারের আপত্তিকর ও অশ্লীল কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন থেকে অডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সমগ্র উপজেলাব্যাপি সমালোচনার ঝড় উঠে।
জামাল উদ্দিন সেলিম জুড়ি উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ড শুনে বিএনপি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অনেকে সেটি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লম্পট বিএনপি নেতা সেলিম এর সমালোচনা করেন।
৪ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ফাঁস হওয়া অডিও টিতে ওই ছাত্রী কে পরিক্ষায় ফাঁস করিয়ে ও ফরম পূরণ এর টাকা দিবেন বলে ছাত্রীর সাথে একান্তে সময় কাটানোর প্রস্তাব করেন,, এছাড়া অশ্লীল কথোপকথন করেন,, অপরিকে ওই ছাত্রী সেলিম এর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে তার বাবা মা বাড়িতে না থাকলে ফোনে তাকে জানাবেন এবং যাতায়াত এর রাস্তা বলে দেন,, পুরো অডিওতে দুজন হাসিমুখে অশ্লীল কথোপকথন করেন।
সম্প্রতি অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও অডিও ভাইরাল হওয়ায় দেশজুড়ে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে,, বিএনপি নেতা সেলিম এর অশ্লীল কথোপকথন এর অডিও ভাইরাল হওয়ায় তার শাস্তি দাবি করেন নেটিজেনরা।
এই বিএনপি নেতা সেলিম স্হানীয় একটি নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকাকালীন ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী এক চা শ্রমিক কন্যার শ্লীলতাহানি করেন যাতে তার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইবুনালের মামলা হয়, যার নং ৩১২/২০১৭( জুড়ি),,এ মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করে,, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন বিএনপি নেতা সেলিম এক অসহায় ছাত্রী কে ভোগ করার প্রস্তাব দিয়ে চরিত্রহীনতার পরিচয় দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা বিচারাধীন,, একজন অসহায় ছাত্রীর সাথে যদি এমন হীন কাজ করা হয় তাহলে বিএনপির সম্মান আর রইলো না,, আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জুড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান চুনু।
অভিযুক্ত জুড়ি উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিন সেলিমকে বারবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নাই।