ট্রলারডুবি: নিখোঁজ বর ও মায়ের মরদেহ উদ্ধার

রবিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম: পটুয়াখালীর দশমিনায় বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বর ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরো দুজন।

রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে উপজেলার বদনার চর নামক জায়াগায় বর রাব্বি হাওলাদার ও তার মা স্ত্রী সেলিনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে।

পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার রেজওয়ান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনার পর থেকেই আমরা নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি। সকালে বদনার চর নামক জায়গায় বর রাব্বি ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকবে।

দশমিনা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় বর রাব্বি ও তার মা সেলিনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

বরের স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকেলে নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গেলে ঝড়ের কবলে পরে বুড়াগৌরঙ্গ ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বেঁচে ফিরলেও বরসহ ৪ জন পানিতে ডুবে যান। শনিবার সকালে ডুবুরি দল নদীগর্ভে নিখোঁজ চারজনের খোঁজে দ্বিতীয় দফায় তল্লাশি শুরু করলে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করে।

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজনীরা বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজদের উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাবে। এছাড়াও নিহতদের পরিবারকে জন প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।