
আদালত প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কিছু মামলার বিচারের রায় হয়ে গেলে পতিত সরকারের নেতাদের (আওয়ামী লীগের) লাফালাফি ও দাম্ভিকতা বন্ধ হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টারে দেশের পরিবর্তন পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পতিত সরকারের নেতাদের কেউ কেউ এখনো মনে করেন, তাদের বিচার করা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কিছু মামলার বিচারের রায় হয়ে গেলে, তাদের (আওয়ামী লীগ) লাফালাফি ও দাম্ভিকতা বন্ধ হবে।
তখন প্রতিশোধ স্পৃহা কমে আসবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু একজন মানুষকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করার জন্য, একটি পরিবারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বিচারব্যবস্থা, আইনব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে।
হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছে। পুলিশ গুলি করেছে সে তো কারো নির্দেশে গুলি করেছে। তাই তার আগে সেই প্রধানমন্ত্রীর বিচার করা হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ডিসেম্বরে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানসহ শীর্ষ কয়েকজনের বেশ কয়েকটি মামলার বিচার শেষ হবে। এই মার্চে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে এপ্রিলে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মার্চ মাসের মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে যাব। তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পরই আনুষ্ঠানিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। সুতরাং এপ্রিল বা মে মাস থেকে বিচারের ফুল সুয়িং অর্থাৎ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে যাবে।
আমরা আশ্বস্ত করতে চাই জাতিকে, আগামী ডিসেম্বরের আগে বেশ কয়েকটি মামলার বিচারকার্য শেষ করা সম্ভব বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি। সুতরাং দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’