ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ মনির উদ্দিনকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়

শনিবার, জুলাই ১৩, ২০২৪

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

দেশের অন্যতম প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ।

এলাকাবাসী ও সেবা গ্রহণকারী রোগীরা হাসপাতালের সেবায় মুগ্ধ কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ মনির উদ্দিনকে নিয়ে হাসপাতালে সমালোচনার ঝড় বইছে।

 

তার অনৈতিক কার্যকলাপ, অসাদাচরণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ এবং চরমভাবে অসন্তুষ্ট। এতে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যার ফলে তাকে একাদিককবার লিখিতভাবে সতর্ক করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ মনির উদ্দিন বর্তমানে সিরাজগঞ্জ খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত রয়েছে।

 

অভিযোগ রয়েছে, সুন্দরী নারীদের প্রতি তার তীব্র লালসা এবং চেম্বারে বসে নারী রোগীদের সাথে অহেতুক গল্প গুজব ও স্পর্শকাতর কথা বলে থাকে এমন কি রোগীদেরকে নানানভাবে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। অসহায় রোগীদের ভয় ভিতি দেখিয়ে সার্জারি করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে যান ডাঃ মনির উদ্দিন । পূর্বচল ও ঢাকা শহরে স্বনামে বেনামে একাদিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছে। ভুল চিকিৎসার জন্য তার বিরুদ্ধে একাধিকবার শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । ঢাকার মিরপুর-১০ নাম্বার গোলচত্বরের পাশে আল হেলাল স্পেশালাইজড হসপিটালে এক রোগীর ভুল সার্জারি করে বিপদে পড়ে ডাঃ মনির উদ্দিন। এপেন্ডিসাইডিস অপারেশন করতে গিয়ে বাম সাইডে সার্জারি না করে ডান সাইডে সার্জারি করে রোগীর কিডনী বের করে ফেলে। রোগী জীবন মরণ সন্ধিক্ষনে পড়ে গেলে। বিপুল পরিমাণে অর্থ দন্ড দিয়ে কোন মতে জীবন রক্ষা পায় তখন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার সার্জরি ও চেম্বার বন্ধ করে তাকে তাড়িয়ে দেয়।

 

যার ফলে অনেকে তার পোস্ট গ্রেজুয়েশন ডিগ্রি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে এবং ভূয়া মনে করছে একাদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীরা ।

এ ডিগ্রির বিষয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল। বাবা ইউসুফ আলী হাওলাদার ছিলেন সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ কিন্তু পুত্রের নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ। মা জায়েদা খাতুন পুত্রের মেধা নিয়ে গর্বিত হলেও ছেলের কার্যকলাপে অস্থির ও অসন্তুষ্ট।

 

মনির উদ্দিন কর্মজীবন শুরুতে নারায়ণগঞ্জের খানপুর সরকারি হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে যোগদান করে এবং একই হাসপাতালে তার স্ত্রী ডা.হামিদা বেগমও গাইনী বিভাগে যোগদান করে । সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস শুরু করে কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। নারী লোভী মনির উদ্দিন বাসার কাজের মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে যা স্ত্রী হামিদা বেগমের হাতে ধরা পড়ে যায়। কাজের মেয়ের পেটে বাচ্চা আসার বিষয়টি জানাজানি হলে, কানপুর হসপিটাল এর পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট অন্যান্য সাংবাদিক বিষয়গুলো নিয়ে বিচার করে, স্বাচিপ নেতা ডা. শাহনেওয়াজের হস্তক্ষেপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করে।

 

পরবর্তীতে তিনি ঢাকা শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করে কিন্তু ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে তার প্রমান এখানেও । এক নার্সের সাথে চলতে থাকে তার অবৈধ প্রেমলীলা যথারীতি এখান থেকেও একই কারণে চাকরিচ্যূত হয়। পরে তিনি উত্তরায় চলে যায় অনৈতিক কাজের হোতা মনির উদ্দিন উত্তরায় যাওয়ার পর আবারও একটি মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং ঐ মহিলার স্বামী জানার পর মহিলাকে তালাক দেন। পরে মনির উদ্দিন তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন।

 

অভিযোগ রয়েছে স্ত্রী হামিদা বেগম তার এ সব অপকর্মের বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মনির উদ্দিন তাকে মারধর ও বিভিন্নভাবে শাররিক নির্যাতন করে। তার নির্যাতন ও ভয়ভীতির কারণে হামিদা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সাউথ আফ্রিকা এবং পরবর্তীতে তিনি মালয়েশিয়া চলে যান।

 

ডা. মনির পুষলিয়ে পাষলিয়ে এবং নানা আশা দিয়ে হামিদা বেগমকে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। ছেলে শাদাৎকে অবরুদ্ধ রেখে স্ত্রীরির (ডা. হামিদা বেগমের) সকল সম্পত্তি লিখে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এবং ছেলেকে বদ্ধ ঘরে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে স্ত্রী হামিদা বেগমের কাছে টাকা পয়সা ও অর্থ সম্পদ আদায়ের চেষ্টা করে।

 

অভিযোগ রয়েছে, একটি শক্তিশালী নারী সিন্ডিকেট তার এ অবৈধ কাজে সহযোগিতা করে থাকে। প্রাণনাশের ভয়ে ছেলেকে রেখে স্ত্রী হামিদা মেয়েকে নিয়ে মালয়েশিয়া চলে যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীরি কে খুশি রাখতে ছেলেকে বার বার ঘুমের ইনজেকশান দিয়ে প্রতিবন্ধী বানিয়ে রেখেছে ডাঃ মনির উদ্দিন ।

 

নানা হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে বর্তমানে হামিদা বেগম মালয়েশিয়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং অবৈধ অর্থ অর্জন তার নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিপুল অর্থবিত্তের মালিক মনির উদ্দিন এখন ডাক্তার সমাজের কাছে এক ঘৃণিত নামে পরিনীত হয়েছে । তার অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডাক্তার ও সচেতন মহল থেকে জোরদাবি উঠেছে ।