
জাতির সংবাদ ডটকম।।
ফ্যাসিবাদের দোসর, দুর্নীতিবাজ বাংলাশে সংবা সংস্থা (বাসস)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করেছে বাংলাদেশ ফডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র নেতৃবৃন্দ। একই সাথে বিগত ১৬ বছর বাসস-এ শত শত কোটি টাকার ুর্নীতি ও অনিয়মের তন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টনস্থ বাসস কার্যালয়ের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন(ডিইউজে) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। ডিইউজে’র সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ্ খন্দকার আলমগীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, ডিইউজে সহসভাপতি কবি রফিক মোহাম্ম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজা, বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য আবু হানিফ, ডিইউজের দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, ফখরুল ইসলাম, ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, শাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড়, তোপখানা রোড হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসেশেষ হয়।
সভায় মাহবুব মোর্শেদকে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের দোসর অভিহিত করে বলা হয়, তার স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলকেও হার মানিয়েছে। সাংবাদিক নেতারা বলেন, বাসস এমডি’র বিগত ৬ মাসের কর্মকাণ্ড বর্তমান সরকারকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া সিনিয়র নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনায় মেতে উঠেছে রঙ বদলানো ফ্যাসিবাদের এ প্রেতাত্মা।
তারা বাসস পরিচালনায় মাহবুব মোর্শেদের অযোগ্যতা এবং ফ্যাসিবাদের দোসররে সঙ্গে আঁতাতের ফলে সৃষ্ট অরাজকতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তারা বর্তমান সরকারের নীতি ও আর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার পরও ডিইউজের াবি মোতাবেক মাহবুব মোর্শেকে অদ্যাবদি বাসস থেকে অপসারণ না করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারিকে অবিলম্বে অপসারণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
সমাপনী বক্তব্যে ডিইউজে সভাপতি মাহবুব মোর্শেদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২৬ মার্চ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং একইদিন প্রধান উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেন।