ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে- সিইসি

রবিবার, জানুয়ারি ২৬, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।।

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে হলে আইন-কানুন, বিধি-বিধান ঠিক করে অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তুতি নিতে হবে।

 

চলমান সংস্কারে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন, বিধি-বিধান সংস্কারসহ সব শেষ করতে হবে।

 

রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ‘আরএফইডি-টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি একথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

তিনি বলেন, ‘আশা করি, উৎসবমুখর পরিবেশ ভোট করতে পারবো। প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জুনে আমাদের দেশে বর্ষা থাকে। এ বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এই সময়কে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করা হয়েছে। আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

 

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দেয়া কিছু প্রস্তাব ইসির ক্ষমতা খর্ব হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। আমরা স্থায়ী কমিটির উপর নির্ভরশীল হতে চাই না। এই সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

 

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দেয়া প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুপারিশ অনেক কিছু দেওয়া যায়। তবে তার বাস্তবায়ন করা কঠিন। সীমানা নির্ধারণে ইসির হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, এটা ইসির এখতিয়ার।

 

সিইসি বলেন, ‘জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) দেওয়া লজিস্টিক সাপোর্টের কারণে ভোটার হালনাগাদ কাজ সময়ের আগেই শুরু করা গেছে।

 

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রুলস অব দ্য গেম না থাকায় নির্বাচনের কাজে আগাতে পারছে না ইসি। আইনি বাধার কারণে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের অনেক কাজ করা যাচ্ছে না। তাই আইনের সংশোধন জরুরি।