ডেসকোর চাকরিচ্যুত কর্মচারীর মানববন্ধন 

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

 

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

চাকরী চাই না, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই, অপরাধে অপরাধী হলে মাথা পেতে মানবো রায়। দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের-রায় মানি না, মানববন্ধনে ডেসকোর চাকরিচ্যুত টি এম তাওহীদ এই কথা বলেন।

 

রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)চাকরিচ্যুত ৮ জন কর্মচারীদের মানববন্ধনে এই আহ্বান জানান তিনি।

 

টি এম তাওহীদ বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এবং ২০ বছর ধরে কর্মচারীদের সার্ভিস রুলে পদায়ন- পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও বৈষম্য ও দ্বৈতনীতি (কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে পদায়ন পদোন্নতি চলমান) প্রয়োগ করে বিভিন্ন সময়ে প্রে- গ্রেড নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়। (ডেসকোর ১৫০ তম বোর্ড সভায় নতুন পদ সৃষ্টি jam-1 & Jam 2 করে সমযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ডিপ্লোমা/ স্নাতক/ মাস্টার্স ডিগ্রি ধারী কর্মচারীদের উক্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত না করে পে. গ্রেড নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়, যা এক প্রকার বৈষম্য ও দ্বৈতনীতি প্রয়োগ স্বরূপ) অভিভাবক হিসেবে সম্মিলিতভাবে ডেসকোর MD মহোদয়ের কাছে (৪০০-৫০০ জন) কর্মচারীরা অধিকার হরণের ইতিহাস তুলে ধরলে আশ্বাসে বিশ্বাস হয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ ধড়যন্ত্রকারী সিন্ডিকেটরা সুযোগ সন্ধানী স্বরূপ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখ DGFI এনে (ডেসকোতে) হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে DGFI অফিসে (ঢাকা সেনানিবাসে) জোর পূর্বক নিয়ে ভয়-ভীতি সহ বিএনপি/ জামায়াত সমর্থক বলে অবহিত করেন।

 

তিনি বলেন,বিশেষ সুত্রের আলোকে জানতে পারি DGFI দিয়ে বিএনপি/ জামায়াত সমর্থক রিপোর্ট বারিয়ে ডেসকোর সার্ভিস রুল পরিপন্থী ও অপরাধ বিহীন (কোন অভিযোগ দ্বার না করিয়ে এবং ভদন্ত কমিটি গঠন না করে সরাসরি এবং বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৫(২) ধারা অনুসরণ না করে ৮ জন কর্মচারীকে চাকুরীচ্যুত করা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখ। সার্ভিস রুলের বিধি অনুধায়ী মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর (১ মাসের মধ্যে আবেদনের বিধান) ১৯ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখ পৃথক পৃথক ভাবে আবেদন করা হয় (আবেদন নং যথাক্রমে ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭) যাহা ৬ বছর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আবেদনটি এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা হয় নি,

 

তিনি আরো বলেন,দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটদের পরামর্শের আলোকে, যাহা এক প্রকার প্রহশন মূলক আপিল গদ্ধতি। দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যেমনঃ (কৃষি প্রকৌঃ মোঃ এনামুল হক, প্রধান প্রকৌশলী, নর্থ জোন, প্রকৌঃ জগদীশ চন্দ্র মন্ডল, নির্বাহী পরিচালক, প্রকৌশল, প্রকৌঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকৌঃ আখেরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, রিয়াজুল হোসেন তালুকদার, ব্যবস্থাপক, লিগ্যাল), মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী (নসরুল হামিদ বিপু), তৎকালীন বিদ্যুৎ সচিব (ড. আহমদ কায়কাউস), তৎকালীন ডেসকোর বোর্ড চেয়ারম্যান (মাহাবুব আলম), আওয়ামী কর্মকর্তা তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক, প্রশাসন, মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং বর্তমানে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন এর সচিব, গংরা জড়িত (পদায়ন- পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন বিধিতে গ্রাহকগন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, বিভিন্ন প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন মামলা মোকাবেলার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, আওয়ামী শাসন আমলের মূল হোতাগন, অবসর নেওয়া অনেক কর্মকর্তা সহ অনেকে পালিয়ে গেলেও তাদের ইশারায় অনিয়ম দুর্নীতি চলমান), সঠিক তদন্তে আরও অনেকের নাম বেরিয়ে আসবে।

 

তিনি বলেন,উক্ত আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য উচ্চ আদালত নির্দেশনা প্রদান করা হলেও (রিট পিটিশন নং ১২৮১০/২০১৮) নির্দেশনাটি আমলে না নিয়ে ডেসকোর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে রিট করে স্থগিত করেন। সর্বশেষ ২৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মহোদয় বরাবর সম্মিলিতভাবে (চাকুরীচ্যুত ৮ জন) সকল সুযোগ সুবিধাসহ চাকুরী পুনর্বহালের আবেদন করা হলে আবেদনটি আমলে নিয়ে ডেসকোকে নির্দেশনা স্বরূপ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়, কিন্তু ডেসকো কর্তৃপক্ষ বরাবর যাওয়া হলে বলা হয় যে এখন আর কোন সুযোগ নেই। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখ ডেসকোর বোর্ড চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ, মহোদয় ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী এর সাক্ষাত গ্রহনের জন্য (মন্ত্রণালয়) যাওয়া হলে, এই বিষয়ে (চাকুরী পুনর্বহালেয় সুপারিশ) অগ্রগতির সর্বশেষ ধাপ খোজ নিলে প্রতিউত্তরে বলা হয়, এই মুহূর্তে তোমাদের আবেদন বিবেচনার কোন সুযোগ নাই। ভবিষ্যতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিলে মেধায় টিকলে বয়স কভার করলে বিবেচনা করা হবে এবং পাশাপাশি আরও বলেন যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে য়ে কার্যক্রম করছে এগুলো ভবিষ্যতে টিকবে না (যাহা এক প্রকার সরকার বিরোধী কথা ও রাষ্ট্র দ্রোহীর সামিল)। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের (বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও অনিন্দ) মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়গনের হস্তক্ষেপ কামনায় (চাকুরীচ্যুত ৮ জনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন) অন্যায়ের প্রতিবাদ, আওয়ামী প্রশাসন (সকল সেক্টর) অপসারন এবং অনিয়ম দুর্নীতিবাজ ও সিন্ডিকেট ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানান ৮ জন চাকুরীচ্যুত কর্মচারীরা।

 

 

উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন টি.এম. তাওহীদ-মোঃ মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী সহ অন্যান্য চাকুরীচ্যুত সদস্য বৃন্দ।