
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর ধানমন্ডির ঝিগাতলা এলাকায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলাকারীরা বাসার জানালা, দরজা, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট করে। এ সময় বাসার আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা জানান, হামলাকারীদের মধ্যে অনেকে মুখোশ পরা ছিল এবং তারা হঠাৎ করেই হামলা চালিয়ে দ্রুত সরে যায়।
সূত্র জানায়, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ছাত্র নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার অভিযোগ রয়েছে। তবে তার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা।
এই হামলার পর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন এবং সম্ভাব্য আরও হামলার শঙ্কা করছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
এদিকে, কূটনৈতিক মহল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর বুকে প্রকাশ্যে এই ধরনের হামলা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বাসায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী কারা এবং এর পেছনের প্রকৃত কারণ কী, তা বের করতে প্রশাসন এখন তৎপর। তবে এই হামলা সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।