জাতির সংবাদ ডটকম ডেস্ক।।
ষাটের দশকে আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলার প্রফেসর আহমেদ শরীফ, ইসলামিক হিস্ট্রির প্র: হাবিবুল্লাহ, অর্থনীতির প্র: আবু মাহুমুদ,ইংররজীর প্রফ: সারওয়ার মোর্শেদের মত শিক্ষকগন যাদের সরকার বাঘের মত ভয় পেত। শিক্ষক সমিতিকে তারা মনে করতো প্যারালাল সরকার এবং ডাকসুকে প্রধান প্রতিপক্ষ। সারা দেশের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকদের বিশেষ সন্মানের চোখে দেখতো আর আজ সম্পুর্ন উলটো…শুধু ঘৃনা আর ঘৃনা। পুলিশ সহ দেশের সকল বাহিনী,বিচার, স্বাস্থ্য শিক্ষা, গনমাধ্যম সব প্রতিষ্টানই গত ১২ বছরে ধ্বংসের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে কিন্ত এই পচন কোথায় এসে পৌঁচেছে তা বোধ হয় সরকারের পক্ষে ও প্রথম আলোর বিরুদ্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একটি সাম্প্রতিক বিবৃতি থেকে বুঝা যায়। সাথে সাথে এনিয়ে সমালোচনা ও ট্রলিং শুরু হয়ে গেছে ফেসবুক ও বিভিন্ন মিডিয়ায়।এপর্যন্ত কোন স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে এমন লজ্জাজনক বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি যা পড়ে সারাদেশের মানুষ ছি ছি করছে।
আমরা আরো দেখেছি যে সেই ১৯৪৭ সাল থেকে শিক্ষক ও সাংবাদিকগন সকল সংগ্রামে বিশেষ করে মুক্তবুদ্বি ও বাক স্বাধীনতার সংগ্রামে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে ।মুক্তিযুদ্বে কত শিক্ষক এবং সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন তার কোন হিসেবও নেই। ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় আলাদা বুদ্বজীবী গোরস্থানও আছে।কিন্তু এই প্রথম দেখলাম ঢা বি শিক্ষক সমিতি প্রথম আলোর সমালোচনাতেই সীমাবদ্ব থাকেনি তারা প্রথম আলোও তার সম্পাদকের বিরুদ্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে। পত্রিকার পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। কি আশ্চর্য। ব্যাক্তিগত ভাবে মতিউর রহমান আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচমেট ও বন্ধু। ও ছিল পরিসংখ্যান আর আমি ইংরেজী বিভাগের ছাত্র। রাজনীতির ক্ষেত্রে শুরু থেকেই আমরা উলটো পথের পথিক।ওছিল রুশপন্থী ছাত্র ইউনিয়ন আর আমি চীন পন্থী ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য। এই বিরোধ এখনো যেমন আছে বন্ধুত্বও তেমন আছে কারন রাজনীতিতে দ্বিমত থাকতেই পারে।সেটাইতো গনতন্ত্রের সৌন্দর্য। রুশপন্থী হিসেবে স্বাভাবিক ভাবেই ওরা ছিল আওয়ামী লীগের নিকটতম মিত্র। কে না জানে যে এই মতিউর রহমান ও প্রথম আলো ১/৮ এর অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রেখেছিল। অথচ আজ সামান্য মতবিরোধের জন্য তাদের উপর দারুন নিগ্রহ চলছে। মতবিরোধতো সারা দেশের সাথেই চলছে।এমন কি গোটা গনতান্ত্রিক বিশ্বই এই সরকারকে সভ্য আচরনের সবক দিচ্ছে কিন্তু তারা হাঁটছে উলটো পথে।
সম্প্রতি আমরা সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচন দেখেছি। এতে বিজয় ছিনতাইকারীরা যে আদৌ বিব্রত তাও মনে হচ্ছেনা।দেশের সব নির্বাচনই এখন জাতীয় নির্বাচনের ছায়া মাত্র। বিবৃতিদানকারী ঢাবি শিক্ষক সমিতির মত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিগুলিও কি একই পথে হাটবে না গনধিকৃতির কারনে মুখ ফিরাবে তা দেখার বিষয়।