তারেক দম্পতির সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ ফরমায়েশি এবং প্রতিহিংসা পরায়ণ

শনিবার, জানুয়ারি ৭, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশ ফরমায়েশি এবং প্রতিহিংসা পরায়ণ রায়  দেওয়া হলো, যখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিপ্লব ও গণ আন্দোলন চলছে।’

শনিবার  নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যে সকল সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তার নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নেই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

বিএনপির চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করতে সরকার মিথ্যে, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ মামলা ও রায় দিয়ে মিথ্যাচার করছে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‌‘জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে বিএনপির বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন ও অমূলক। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি। সরকারের হীন এ কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। সরকারকে এসব হীন ষড়যন্ত্র পরিত্যাগ করে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।’

অবিলম্বে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া আদেশ ও রায় বাতিল করার দাবি জানান মোশাররফ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন -বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।