দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার- ববি হাজ্জাজ

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪

 

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দায়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার হিসাবে আওয়ামী লীগ সরকারের নাম লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত “একুশের চেতনায় নতুন বিপ্লবঃ ”এবার হবে জনতার সংসদ” শীর্ষক আলোচনায় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে দ্বীনের চেতনায়, ইসলামের চেতনায় জাতীয়তাবাদী ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গতবছর আন্দোলনের ভুল-ত্রুটি কোন একটি নির্দিষ্ট দলের নয়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এক প্লাটফর্মে সবাইকে আসতে হবে৷ এই সরকার চায় অন্ধ এবং বধির এক প্রজন্ম তৈরি করতে যারা অন্যায় দেখেও চুপ করে থাকবে। এই সরকার চায় যেনা-ব্যভিচারকে উষ্কে দিতে, নতুন প্রজন্মকে বিকৃত ইতিহাস শেখাতে আর ভারতের সেবাদাসে পরিণত করতে। এই নীলনকশার অংশ হিসাবে মানহীন বিতর্কিত এক পাঠ্যক্রম তাঁরা চালু করেছে।“

ববি হাজ্জাজ বলেন, “ভোটচুরি আর সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে কুক্ষিগত করার দায়ে হিটলার-মুসোলিনির মত এই সরকার সংশ্লিষ্টদের নাম নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার হিসাবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিবে।“

 

জাতীয় সংসদকে আওয়ামী লীগ সরকার অকার্যকর করে রেখেছে অভিযোগ করে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদের ২২টি অধিবেশনের মধ্যে ৯টি অধিবেশনের মোট ১৯টি কার্যদিবসে প্রায় ৬৯ ঘন্টা ৩৩ মিনিট বিধি ১৪৬ এবং ১৪৭ অনুযায়ী সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় যার প্রায় অর্ধেক সময় ছিলো (৪৫ দশমিক ১ শতাংশ) ছিলো মরহুম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান কেন্দ্রিক আলোচনা। একাদশ জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ১৪টি বিবৃতি উপস্থাপিত হয় যার মধ্যে সংসদ সদস্যদের দাবির বিপরীতে ৯টি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় কোন বিবৃতি প্রদান করে নাই।“

 

তিনি বলেন, “জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা না থাকায় আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত সংসদে ডলার সংকট, অর্থপাচার বা ব্যাংক ডাকাতি নিয়ে কথা হয় না, নির্বাচনে ব্যপক কারচুপি এবং অনিয়ম নিয়ে বিতর্ক হয় না, সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করা হলেও জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয় না। প্রকৃত অর্থে “জনতার সংসদ” গড়ে তুলতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে হবে। ভাষা শহীদের আত্মত্যাগকে যথাযথ মর্যাদা দেবার এটাই সবচেয়ে সুন্দর উপায়।“

 

এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ইসলামি আন্দোল বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলি, বাংলদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।