দশম গ্রেড বাস্তবায়নের এক দফা এক দাবিতে মাধবপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন

বুধবার, অক্টোবর ২, ২০২৪

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু হবিগঞ্জ প্রতিনিধি 

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের এক দফা এক দাবিতে হবিগঞ্জের মাধবপুরে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা।

 

বুধবার (২ অক্টোবর) সাড়ে চারটায় উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে মহাসড়কের ওপর এ কর্মসূচি পালিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে শতভাগ পদোন্নতি সহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম ফয়সালের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে স্মারকলিপি দেন শিক্ষকেরা।

 

 

অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বানিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, শাহিনুজ্জামান শাহিন,আফিয়া তালুকদার, মীর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাণী দাস, সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মতিন, মাজিশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তন্নী রহমান প্রমুখ।

 

 

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষকেরা সহকারী শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত ও মর্যাদাসম্পন্ন করতে দশম গ্রেড বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি তুলে ধরেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

 

শিক্ষক নেতা গুমুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠুন রায় বলেন, দশম গ্রেড শুধু আমাদের দাবিই নয়, এটি আমাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক অধিকার। এর কারণ একজন নার্স এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমার পর নিয়োগ পেয়ে (এইচএসচি সমমান) বেতন পায় দশম গ্রেডে। শুধু তা–ই নয়, একজন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, পুলিশের উপপরিদর্শকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও স্নাতক সমমান যোগ্যতায় নিয়োগ পেয়ে বেতন পায় নবম-দশম গ্রেডে। তাহলে সমযোগ্যতা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে এই বৈষম্য কেন?’

 

মানববন্ধনে শিক্ষক নেতা দলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ সাইফুর রহমান নিয়াজ বলেন, ‘স্নাতক সম্পন্ন করে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেতন পান ১৩তম গ্রেডে। অথচ অষ্টম শ্রেণি পাস করা একজন সরকারি গাড়িচালক বেতন পান ১২তম গ্রেডে। মানে একজন শিক্ষকের চেয়ে গাড়ি চালকের পদমর্যাদা বেশি।

 

শিক্ষক নেতা আফজলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন বলেন ‘বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে একজন সহকারী শিক্ষকের ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দিয়ে জীবন চালানো খুবই কঠিন। অনেক শিক্ষকের মাসের পর মাস ধারদেনা করে চলতে হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি, উনি যেন আমাদের যৌক্তিক দাবিটি মেনে নেন।