।। সায়মা শাহনাজ পিংকি ।।
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ থাকাটা খুবই জরুরী।স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলে দু’জনার এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ থাকলে একজন আরেকজনকে মন খুলে সবকিছু বলতে পারে।আর যখন মন খুলে সব বলার সুযোগ থাকে,ঠিক তখনই দু’জনার মধ্যে জটিলতা কিংবা লুকোচুরির কিছু থাকে না।
পরস্পরের প্রতি পরস্পরের ভালোবাসা,বিশ্বাস,শ্রদ্ধাবোধ,আন্তরিকতার পাশাপাশি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ থাকাটাও জরুরী।স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে বুঝতে গেলেও সম্পর্ক হতে হয় খোলামেলা।
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর যদি পরস্পরের বন্ধু হতে পারে,তবে সেই সংসারে আর কিছুর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।দাম্পত্য জীবনে বৈবাহিক ডিপ্রেশনে অনেকেই ভুগে!তবে এই ডিপ্রেশন থেকে সহজেই বের হওয়া যায়,যদি সঙ্গীর আচরণ হয় বন্ধুত্বপূর্ণ।
সঙ্গীর কাছে সবকিছু খুলে বলা,তাকে সবচেয়ে কাছের মানুষ মনে করা,যেকোনো বিষয়ে তার সাথে বসে খোলামেলা আলোচনা,সমস্যার সমাধান করার মন-মানসিকতা ঠিক ক’জন মানুষ রাখে?অনেকেই এই বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যপারটা হাস্যকর মনে করলেও,মূলত দাম্পত্য জীবনকে উপভোগ্য এবং সুখের করতে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের কোনো বিকল্প নেই।
সঙ্গীকে যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো-মন্দ সবকিছু খুলে বলা না যায়,তাকে সবচেয়ে কাছের এবং নির্ভরযোগ্য মানুষ মনে করা না যায়,ততক্ষণ পর্যন্ত দাম্পত্য জীবনে নিজেকে সুখী বলে দাবী করা যায় না।