দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের সম্মিলিত অঙ্গীকার

শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন::-অসমতা, জলবায়ু সংকট মোকাবেলা ও সামাজিক সুরক্ষা জোরদারকরনে জনসম্মিলনে,এসডিজি এ্যাকশন এলায়েন্স, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের সম্মিলিত অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেন

 

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে মৌলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে “এ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ”এসডিজি “উদ্যোগে দারিদ্র্য, অসমতা ও জলবায়ু সংকট মোকাবেলা সহ সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা জোরদারকরণ শীর্ষক জাতীয় জনসম্মিলন তিনি এই কথা বলেন ।

 

 

আবদুল আউয়াল বলেন, এসডিজি এ্যাকশন এলায়েন্স, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের সম্মিলিত অঙ্গীকার। এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণাসহ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০২৫ সালে এসডিজি বাস্তবায়নে এক দশকের মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বিশ্ব। কিন্তু অর্জনের ধীর গতি আশাহত করছে বিশ্ববাসীকে। ২০২৩ জুলাই শেষে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষন করে জাতিসংঘের সেক্রটারী জেনারেল বলেছিলেন এসডিজির ১৭টি অভিষ্ট অর্জনে শুধুমাত্র ১৫% সঠিক গতিপথে রয়েছ। পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও জাতিসংঘ বলেছে ২০৩০ এর মধ্যে ৬৩% পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব, যদি প্রয়োজনীয় গতি আনতে বিশ্ব নেতৃত্ব রাজী হয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশ সহ অধিকাংশ দেশই লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে। জাতিসংঘের এসডিজি প্রতিবেদন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশ এসডিজি উন্নয়ন সূচকে ৬৫.৯ পয়েন্ট নিয়ে ১০১ ধাপে রয়েছ, যা ভারত (৬৩.৫) ও পাকিস্থানের (৫৯.০) চাইতে ভালো কিন্তু শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার চাইতে অনেক পেছনে।

 

তিনি বলেন,নাগরিক সমাজ সন্দিহান, গতানুগতিক ধারায় চললে বাংলাদেশ এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য পূরন করতে বড় কোন সাফল্য পাবে কিনা, যদিনা আমরা নীতি কৌশল নিয়ে নতুন করে না ভাবি। বিশেষত পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থনৈতিক সুবিচার অর্জন। বিগত বছরগুলোতে অতিমারী, জলনবায়ু সংকট ও যুদ্ধ বিগ্রহ সহ নানামুখী বৈশ্বিক সংকট এসডিজির অর্জনকে বাধাগ্রস্থ করেছে। লক্ষ্য ছিল কাউকে পেছনে ফেলে নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জলবায়ু সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে সবার বসবাসের জন্য একটি বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়া তোলা।

 

তিনি আরো বলেন,আগামী ২২-৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিউইয়র্কে বিশ্বনেতৃবৃন্দ যোগ দিচ্ছে সামিট ফর ফিউচার সম্মেলন সহ জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের সভা সমূহে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস আগামী ২৩-৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সভাসমূহে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন।

 

এই সময়ে দেশে দেশে নাগরিক সমাজ এসডিজির অগ্রযাত্রা পর্যালোচনায় মিলিত হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করনীয় নির্ধারণের জন্য গ্লোবাল এ্যাকশন এগেনইস্ট পভার্টি-জিক্যাপ এর আহ্বানে ও এসডিজি এ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ১৫-২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী অংশভাগী জনগনের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনসম্মিলন আয়োজন করা হচ্ছে।

 

উক্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন রাসিন এর নির্বাহী প্রধান আসমা আক্তার মুক্তা , সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, বক্তব্য রাখেন আবদুল মান্নান আকন্দ, রুডলফ নির্বাহী প্রধান

আফজাল হোসেন,শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি মহসিন আলী, ওয়েভ ফাউন্ডেশন সামিয়া আহমেদ, এডভোকেসি এন্ড ক্যাম্পেইন ম্যানেজার, সেভ দ্য চিল্ড্রেন বদরুল আলম, সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন একেএম জসীম উদ্দিন, পরিচালক, এডাব ডা: দিবালোক সিংহ, নির্বাহী পরিচালক, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র সুমাইয়া ইসলাম, ছাত্র নেত্রী নাজিফা জান্নাত ,ছাত্র আন্দোলন মুনীর হোসেন, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি কে জি এম ফারুক, নির্বাহী প্রধান, পেইভ ইলিরা দেওয়ান, মানবাধিকার কর্মী মথুরা ত্রিপুরা,সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।