দারুল ইহসান ট্রাস্টের বোর্ড সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

শুক্রবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

আজ দুপুর ২টায় দারুল ইহসান ট্রাস্টের তাহফিযুল কুরআনিল কারিম ফাযিল (স্নাতক) মাদরাসার প্রাঙ্গণে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী এবং এলাকার সাধারণ জনগণের এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি জনাব মারুফ হোসেন মুকুল এবং বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য প্রফেসর হেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ এবং তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে উত্তরা থানার মামলা নম্বর-১৮ এর ভিত্তিতে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই গত ২২ জানুয়ারি আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে আশুলিয়া থানা পুলিশ জনাব মারুফ হোসেন মুকুলকে গ্রেফতার করে উত্তরা থানায় হস্তান্তর করে। একই মামলায় প্রফেসর হেলাল আহমেদকে মামলার ১৭৯ নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

বিক্ষুব্ধ জনতা দাবি করেন, এই মামলাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের হয়রানি করার জন্য দায়ের করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মামলার অব্যাহতি দাবি করেন এবং মামলাগুলো তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানান।

স্থানীয় জনগণ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি এবং বোর্ড সদস্যরা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা এবং অন্যায় গ্রেফতার দারুল ইহসান ট্রাস্টের সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, দারুল ইহসান ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ধানমন্ডির বাড়ি-২১, রোড-৯/এ দীর্ঘদিন ধরে দখলে ছিল। ২০২০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক জোরপূর্বক ভবনটি দখল করে সেখানে তার কন্যার জন্য একটি অফিস তৈরি করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার পতনের পর ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় দখলমুক্ত হয়।

বক্তারা দাবি করেন, দারুল ইহসান ট্রাস্টের কোনো ট্রাস্টি বা কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা আরও জানান, এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানিমূলক কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

জনগণের দাবি না মানলে, তারা ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।