জাতির সংবাদ ডটকম: যাত্রী সেজে চালককে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাহাত (২৫) নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে স্থানীয়রা। চালকের হাত-পা বেঁধে নির্জনস্থানে ফেলে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে সাভারের থানাঘাট এলাকায় চালককে ফেলে রিকশা নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা সাভার মডেল থানার সামনে তাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
আটক রাহাত ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের জনাব আলীর ছেলে। তিনি দিনে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন আর রাতে ছিনতাই করেন। এ ঘটনায় তার সহযোগী শাহীন ও বাবুসহ ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী রিকশাচালকের নাম ফয়সাল (২৩)। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সাভারের আনন্দপুরে ভাড়া থেকে ৭ বছর ধরে তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ফয়সাল বলেন, সাভার থেকে একজন যাত্রীবেশে থানাঘাট এলাকায় যাওয়ার জন্য রিকশা ভাড়া নেয়। থানাঘাট এলাকায় গেলে পেছন থেকে আমার অটোরিকশার চাবিটা খুলে নেয়। আমি চিৎকার করছিলাম। আরেকজন পেছন থেকে এসে মুখে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে বলল চিৎকার করিস না। তোকে কিছু করব না। পকেটে টাকা ছিল মোবাইল ছিল, সেগুলো নিয়েছে। সেখানে আরও চারজন আসে। পরে আমার গলা ও হা-পা বেঁধে ফেলে। আমারে চাকু ঠেকাইছিল দুই থেকে তিনবার। আমাকে কিছু খাওয়াইছে কি না তা বলতে পারব না। তবে আমাকে ওরা মেরেছে। ঠিক করে কথা বলতে পারছি না।
থানাঘাট এলাকার চায়ের দোকানদার জাফর বলেন, থানাঘাটের দিকে একটা রিকশা গেছে। আমার দোকানের পার্শ্ববর্তী জুয়েল হঠাৎ করে চিৎকার করে বলে ওঠে, রিকশাটা মনে হয় ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমরা রিকশার পেছন থেকে ধাওয়া দিয়ে ছিনতাইকারীকে রিকশাসহ আটক করি। পরে ছিনতাইকারীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি। থানাঘাট থেকে প্রায় হাফ কিলোমিটার দক্ষিণে রিকশার প্রকৃত চালককে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রেখেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, এ ঘটনায় রিকশাটি উদ্ধার করে ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী এখন অসুস্থ। সুস্থ হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।