দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট দেশে পরিনত করার অভিষ্ট লক্ষ্যে আওয়ামীলীগ কাজ করে যাচ্ছেন

বৃহস্পতিবার, মে ১৮, ২০২৩

শাহাদাত সাহেদ।। যারা বিএনপির সাথে আতাত করে নিজেদেরকে আওয়ামীলীগ হিসেবে পরিচয় দিবে তারা তাদের মায়ের সাথে জেনা করবে ।

বুধবার ১৭ ই মে, বিকাল ৪ ঘটিকায়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রর্ত‍্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজনকৃত মিলাদ মাহফিল ও অনুষ্ঠানের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা এই হুশিয়ারি দেন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রর্ত‍্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষ্যে বসুরহাট পৌরসভার বার বার নির্বাচিত জনন্দিত আলোচিত মেয়র, ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা-পতি  আবদুল কাদের মির্জা স্মৃতিচারণ মূলক ও দেশের  অবাধ উন্নয়নের বক্তব‍্য তুলে ধরেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যার পর  আওয়ামীলীগের শূন‍্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ দেশে  অমানিশার অন্ধকার নেমে এসেছিল। ঠিক তখন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনের ঢাকা ছিল একান্তই শেখ হাসিনার। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকায়  উপস্থিত ছিল। হাসিনা তোমায় কথা দিলাম মুজিব হত‍্যার বদলা নিবো। স্লোগান আর স্লোগান। পরবর্তীতে নেত্রী ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন। দেশে  আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট দেশে পরিনত করার অভিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে পদ্মাসেতু মেট্রোরেল ও বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ করে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করেছেন।

এ সময় কাদের মির্জা আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে ১৯৭১ সালে এদেশের বিরোধিতা করে কিছুই করতে পারেননি। আমরা স্বাধীনতা  এনেছি। মিয়ানমারের বিরোধীতা করেও রোহিঙ্গাদের জন‍্য কিছু করতে পারেননি। মানতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের  এ দেশে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বব‍্যাপী মানবতার উজ্জ্বল স্থাপন করেছেন।
আমেরিকা গণতন্ত্রের কথা বলে ২১ বছর আওয়ামীলীগকে ক্ষমতার বাইরে রেখেছিলেন। ঐ গণতন্ত্রের সময়  আমরাও ভোট দিতে পারিনি। এখন আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেন। আমেরিকায় কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার  আছে? আগামী নির্বাচনে  আপনারা কিছুই করতে পারবেন না।
তিনি বলেন আপনারা বিএনপিকে দিয়ে র‍্যাব সৃষ্টি করেছেন। এখন তাদের কথায় র‍্যাবের উপর শ‍্যাংসান দিলেন। শ‍্যাংসান দিয়ে লাভ হবেনা। সংবিধান মোতাবেক যথাসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সূষ্ঠূ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পূনরায় সরকার গঠন করবে। আওয়ামীলীগের আগে ২১ বছর হোক । মাত্র ১৪ বছর গেছে। আরো ৭ বছর ক্ষমতায় থাকবে।

তিনি আরো বলেন,আজকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাটি প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় মাদকে ছয়লাভ হয়ে গেছে। যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি  এই যোব সমাজকে ধবংস হয়ে যেতে দিতে পারি না। আমি মাদকে নির্মূল করবই।
সামনে নির্বাচন  আসছে। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ হল নির্বাচন। নির্বাচনের নামে আমরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দিবনা। আপনারা যারা বিএনপির সাথে আতাত করেছেন তারা যদি আওয়ামীলীগ  করে থাকেন, আজ থেকে কেউ যদি  আওয়ামীলীগের নাম করে  বিএনপির সাথে আতাত করে থাকেন তাহলে তারা নিজের মায়ের সাথে জেনা করবেন।

বিএনপি  আমার নেত্রীকে হত‍্যা করার চেষ্টা করেছেন। ২১ আগষ্ট আমার ভাইয়ের শরীর গ‍্যানেটের স্প্রিন্টারের কণায় ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। বিএনপির কারণে আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা নিরাপত্তা হীনতায় এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল।

তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন। প্রশাসনকে এখানে শালিস বাণিজ্য চলবেনা। থানায় শালিসের নামে অর্থ বাণিজ্য চলবেনা। উপজেলা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সেটেলমেন্ট অফিস  ও মৎস‍্য অফিসে চড়ম  দূর্নীতি চলছে। প্রশাসনকে বলবো দূর্নীতি বন্ধ করুন এবং থানাকে বলবো শালিস বাণিজ্য বন্ধ করুন। আমরা সরকারি দলের রাজনীতি করি আমাদেরকেই দূর্নীতি বন্ধে ব‍্যবস্থা নিতে হবে।

সামনে নির্বাচন।এখন থেকেই নির্বাচনের কাজ শুরু করতে হবে। নির্বাচনে ব‍্যর্থ আজকে যারা দলীয় পরিচয়ে চেয়ারম্যান  ও মেম্বার হয়েছেন, তারা চেয়ারে বসা তো দূরের কথা নিজ বাড়িতেও থাকতে পারবেন না। তারা ক্ষমতায় আসলে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের এক লক্ষ নেতা কর্মীকে হত্যা করবে।

সবশেষ কাদের মির্জা বলেন,মাদককে না বলুন। মাদকাশক্ত সন্তানের কারণে অনেক মায়েরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। এসব মায়ের কান্না থামাতে হবে।আমার সাথে আপনারা না আসলেও আমি মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাব।যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে। কাদের মির্জা আরো বলেন আমি অন‍্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবই। অসত‍্যের কাছে কভু নত না হবে শীর, ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর।