দেশের মানুষ খেতে পায়না, আওয়ামীলীগ নেতারা লুট করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে

বুধবার, মার্চ ২০, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

রোজার মাস, সিয়াম সাধনার মাস। এই মাসে ছাত্রলীগের গুন্ডারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজাদার ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে। সরকার ইফতার পার্টি বন্ধ করেছে, এরা হচ্ছে জালিম। দেশের মানুষ খেতে পায়না, আওয়ামীলীগ নেতারা লুট করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা এই জালিমের পতন ঘটাক, বলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। এবি পার্টি আয়োজিত মাসব্যাপী গণইফতারে আজকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে মাসব্যাপী চলছে এই গণ ইফতার কার্যক্রম। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণ ইফতারে সভাপতিত্ব করেন পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক । বক্তব্য রাখেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসান সহ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মান্না বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার পার্টি বন্ধ করেছেন, তার গুন্ডা বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ইফতার পার্টি করলে সেখানে হামলা চালাচ্ছে। দেশে প্রায় ১০ কোটি হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে, তাদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে অথচ গরীবের ইফতার সরকারের সহ্য হচ্ছে না। আমরা রোজায় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি এই জালিমের পতন হোক। দশ হাজার কোটি টাকা পাচারের তদন্ত হয়না, অপরাধীদের বিচার হয়না। রোজার পরে এই স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আন্দোলন জোরদার করতে হবে।

তিনি বলেন, গরীব মানুষের খাবারের উদ্যোগ নেওয়া আওয়ামীলীগের দায়িত্ব ছিলো অথচ সেই কাজ করছে এবি পার্টি। তিনি এবি পার্টির এই উদ্যোগের প্রতি সংহতি জানান এবং পার্টির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সারাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে অথচ সরকার দেশে নাকি ভিক্ষুক নাই। এর মাধ্যমে মূলত তারা গরীব মানুষের অধিকারকে অস্বীকার করছে। এখন আমরা দেখছি অভাবের জ্বালায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ সন্তান বিক্রির কথা বলছে যা আমরা দেখেছি ৭৪ সালে, যখন মানুষ কুকুর বিড়ালের সাথে ডাস্টবিনে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করেছে। আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দুর্ভিক্ষ হয়, চুরি ছিনতাই শুরু হয়। মন্ত্রীরা বলে মানুষ নাকি সুখে শান্তিতে আছে, অথচ সম্মান না পেয়ে, সম্ভ্রম হারিয়ে মানুষ আত্মহত্যা করছে।

 

 

শহীদুল্লাহ্ কায়সার বলেন, আমরা একটি ফ্যাসীবাদী সরকারের অধীনে আছি। আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, মানুষ বাজারে যেতে পারছেনা দ্রব্যমূল্যের কারণে। রমজানে মানুষ ঠিকমতো সেহরী করতে পারছেনা, ইফতার করতে পারছেনা। তিনি আগামী রোজার আগেই এই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন সফল করার আহবান জানান।

 

সভাপতির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, ঢাকা শহরে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন, খাদ্যহীন যার দায়িত্ব সরকারের। অথচ আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের দায়িত্ব নিয়ে নির্বিকার। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে, দেশের সম্পদ লুট করে বিলাবহুল জীবন যাপন করছে। এমপিদের বউরা বেগম পাড়ায় থাকে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণ তার অধিকার ফিরে পাবেনা।

 

গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, হাসিবুর রহমান খান, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম এইচ আরিফ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।