জাতির সংবাদ ডটকম: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে; ততই আলোচনা চলছে নৌকার টিকিট নিয়ে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ও লবিং করছেন তারা। তবে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনকে।
পটুয়াখালী-৪ ( কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা ) এলাকায় জনমত জরিপ ও তৃণমূলের আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষকে সাহায্য করে আসছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
পটুয়াখালী-৪ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পটুয়াখালী-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বের প্রতিটি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা নিবিড়। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক বলয়ে এবং ভোট ব্যাংকে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন অপ্রতিদ্বন্ধী। সংগঠনে বেশিরভাগ জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় যেমন তার প্রতিদ্বন্দ্বী নেই; তেমনি জনগণের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে অপ্রতিদ্বন্দ্বী তিনি।
পটুয়াখালী-৪ আসনের জনগণের জন্য নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এলাকার মাটি ও মানুষের জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছেন। সার্বক্ষণিক মিশে আছেন গণমানুষের সাথে, শেখ হাসিনার পক্ষে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে করে যাচ্ছেন জনসংযোগ। সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়, গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে জরিপ চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনমতের উপরও সমীক্ষা চলছে। ভোট চিত্রে যে সমীকরণ চলছে, সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এগিয়ে থাকবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনের প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি নিজেই। তার আর কোনো অলটারনেটিভ নেই। এটি নিশ্চিত যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনই একমাত্র তৃণমূল সমথির্ত প্রার্থী। জনপ্রত্যাশিত প্রার্থীও তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পটুয়াখালী-৪ আসনের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো; দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে মনোনয়ন দিবে। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবো এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়তা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসাথ সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে শেখ হাসিনার অঙ্গিকার “ভিশন- ২০২১”ও “ভিশন-২০৪১” বাস্তবায়নের লক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্যদিয়ে সুখী, সুন্দর, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চেতনা লালন করে বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জকে দৃঢ়ভাবে মোকাবেলার মাধ্যমে গণ মানুষের সংগঠন “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ” এর পতাকা সমুন্নত রাখার ইস্পাতদৃঢ় চেতনাই হবে একমাত্র তার আদর্শিক অভিযাত্রা।
ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। ছাত্রজীবনে তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক কারণে সংগঠিত ছাত্র সংঘর্ষের জন্য ১৯৮৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ বছরের জন্য বহিষ্কৃত, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বছর বহাল রেখে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পটুয়াখালী জেলা শাখার মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়ে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে “কেবিনেট সদস্য”নির্বাচিত হন তিনি।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমীর কোষাধ্যক এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, খুলনা বিভাগীয় ইউনিটের আহ্বায়ক ছিলেন।
বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়াম্যান।