
ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সাথে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা।
রবিবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রব্বানী, সাদীয়া মাহমুদ মীম, ইয়াশীরুল কবির সৌরভ, সায়েম আহমেদসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় সহ-সমন্বয়ক সাদীয়া মাহমুদ মীম বলেন, “এরপরে কি আমি ধর্ষিতা হতে চলেছি এমন চিন্তা সবসময় তাড়া করে বেড়ায় আমাদের। আমরা চাই ধর্ষকের শাস্তি জনসমক্ষে করতে হবে,সকল ধর্ষক কে শাস্তির ভয়াবহতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। একজন শিশুর উপর যখন পাশবিক নির্যাতন হয় তখন আপনাদের মনুষ্যত্ব কোথায় থাকে? বাসায় কি আপনাদের মা বোন নাই? ধর্ষক যেন অবাধ চলাফেরা না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক হতে হবে।”
সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, “বাংলাদেশে যে হারে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে স্বাভাবিক মৃত্যুদণ্ড দিলে এদেশে ধর্ষণ কমবে না। আপনারা ধর্ষক যেখানে পাবেন সেখানে মব সৃষ্টি করুন। ধর্ষককে জায়গায় মেরে ফেলুন। তাহলেই বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণকে রোধ করা সম্ভব হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ধর্ষককে খুঁজে পাওয়ার পর কোনো ধরনের কাল বিলম্ব না করে বিচার বিলম্বিত না করে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যদি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মাগুরার আছিয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচার না করা হয় আমরা এই রাস্তা আবার বন্ধ করে দিবো।”
সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত না হলে কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে আগামী দিনের আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। যদি অন্যান্য অপরাধের শাস্তি কমানো বা মওকুফ করা গেলেও ধর্ষকের শাস্তি কমানোর কোনো সুযোগ নাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সারাদেশে নারীরা যেভাবে জেগে উঠেছে সেভাবে নারীদের সাথ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। নারী আমাদের মায়ের জাত। যে সকল মানুষ নারীদের দিকে ধর্ষকের চোখে তাকাবে ছাত্র সমাজের উচিত তাদের চোখ তুলে নেয়া। জুলাই বিল্পবের পর আমরা এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি কারণ সারাদেশে ধর্ষণ সহ নানা ধরনের অপতৎপরতা চলছে। সারাদেশে যেভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে তাতে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করতে বাধ্য হবে।”