জাতির সংবাদ ডটকম।।
ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ- বিএসপিপি গতকাল বুধবার রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে পেশাজীবীরা বিএনপি আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে। এসময় বিএসপিপির আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন,সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, এডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ডা. এম এ কুদ্দুস,প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার,প্রফেসর ডা. আজিজুল হক,প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এডভোকেট ফজলুর রহমান, প্রফেসর ড.মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম,প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. আবদুস সালাম,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, ড.প্রফেসর আবদূর রশিদ, প্রফেসর নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল,এডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল,ডা রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম,ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু,ডা. শহিদুজ্জামান, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম,প্রফেসর ড. মো. শাহ এমরান, প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ, প্রফেসর আব্দুল আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার আজিম উদ্দিন,কৃষিবিদ নুরুন্নবী শ্যামল, কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংবাদিক বাছির জামাল, রাশেদুল হক,আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাখাওয়াত ইবনে মইন চৌধুরী, সাঈদ খান,এস এম রিয়েল রোমান, ইঞ্জিনিয়ার এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ,ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লব উজ জামান, অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, এসরকারের আমলে পেশাজীবিরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত। ভিন্নমতের হাজার হাজার পেশাজীবীকে চাকরিচ্যূত করা হয়েছে।দলীয় বিবেচনায় এখন চাকরি প্রদান ও পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। তাই যোগ্য ও মেধাবী একদিকে চাকরি অন্যদিকে পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছে। বহু পেশাজীবিকে গুম ও খুন করে হয়েছে।মামলা দিয়ে পেশাজীবিদের ঘর ছাড়া, বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। তাই আজ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিক্ষুব্ধ পেশাজীবিদের ঢ্ল নেমেছে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে। তিনি বলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত পেশাজীবিরা ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্য নিয়ে রাজপথে থাকবে।
ডাক্তার জাহিদ বলেন, এই নিশি রাতের সরকার ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের সকল অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার নিশ্চিত, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের দাবিতে জনগণ আজ বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। পেশাজীবিদেরও জনতার কাতারে গিয়ে শামিল হয়েছে। পেশাজীবি জনতা ঐক্য গড়ে তুলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দেশে চরম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছে। মানুষের জান মাল ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। দেশ মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে মানুষ না খেয়ে মরছে অন্য দিকে সরকারের লোকেরা দুর্নীতি ও লুটের টাকা দিয়ে বিদেশে সেকেন্ড হোম কিনছে।পত্রিকায় দেখলাম ওয়াসার এমডির আমেরিকায় ১৪টি বাড়ি। এতে সরকারের লোকেরা কি পরিমান দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে তা সহজে অনুমেয়। গত ১৫ বছরে ৫০জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। কিন্তু কোনো বিচার নেই। সাগর-রুনি হত্যার পর তদন্ত প্রতিবেদন ৯৫বার পিছিয়েছে। এটি বিচারজলহীনরার দৃষ্টান্ত। এমনি পরিস্থিতিতে পেশাজীবিদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই ছাড়া আর পথ খোলা নেই। সাংবাদিকদের এনেতা বলেন,আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপন্ন। গণতন্ত্র নেই। বাক স্বাধীনতা নেই। মিডিয়ার স্বাধীনতা নেই। ন্যায় বিচার নেই। আদালত চলছে সরকারের ইশারায়। প্রতি পদে পদে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই লুটপাট, গুম- খুন বেড়ে যায়। এটা তাদের গুণ। তারা ভয় দেখিয়ে শাসন করে। সেশ বাঁচাতে অতীতের মতো পেশাজীবীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই, তাহলে যেকোনো মুল্যে এ ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করতে হবে।