‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পুনর্বিবেচনা করছে সরকার: আসিফ মাহমুদ

শনিবার, জুন ২৮, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’, ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ও ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করে গত বুধবার পৃথক পরিপত্র জারি করেছিল অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে সরকারের ঘোষিত তিনটি দিবসের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানিয়েছেন, এই তিন দিবস নিয়ে সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।

গত বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’, ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ও ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করে গত বুধবার পৃথক পরিপত্র জারি করে।

৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতসহ অনেক সংগঠন ও নেতা দ্বিমত প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের মতে ৫ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হওয়া উচিত।

পরিপত্র জারির পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুকে এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট না। ৫ আগস্টের সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’

অন্যদিকে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লেখেন, ‘৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’।

এদিকে গতকাল শুক্রবার জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লেখেন, ‘৮ আগস্ট নয়, ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দিবস হওয়া উচিত’।

এই প্রতিক্রিয়ার মুখে সরকার দিবসগুলো নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিবসবিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। ঘোষিত তিনটি দিবস নিয়েই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

গত বুধবার তিনটি দিবস ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্রে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রতি বছর যথাযথভাবে এই তিন দিবস প্রতিপালন করতে বলা হয়।