নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা মানুষের ভোটাধিকার ফিরেয়ে দেওয়া: রিজভী

সোমবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকার সহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাইতো পহেলা নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে দেওয়া। এমনটাই দাবি করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর পরীবাগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে ভোটাধিকারের জন্য আমরা গত ১৫-১৬ বছর ধরে লড়াই করছি, সেটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। সেটি নিশ্চিত করার পথেই আমরা এগোচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কোনো টালবাহানা করা চলবে না। কারণ, ভোটের অধিকারের জন্যই তো মানুষ সংগ্রাম করেছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আর এই ভোটাধিকার কেড়ে নিতে গিয়ে তিনি আজীবন ক্ষমতা বিলাসী হয়ে উঠেন। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, ন্যায়বিচার, আদালত, আইনকানুন, গণমাধ্যম সবকিছু ভেঙেচুরে তছনছ করে দেন। একটি একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান।

তিনি বলেন, এই ভয়ংকর থাবার মধ্যেও এদেশের মানুষ তার নিজস্ব চিন্তা, নিজস্ব সংস্কৃতি, গৌরবময় অতীত এবং আবহমান বাংলার প্রকৃত যে আদর্শ সেটা বুকে ধারণ করে লড়াই করেছে। সেজন্যেই আমরা আজকে বিজয়ী হয়েছি। সুতরাং এ বিজয়কে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। এ বিজয়কে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই অতি দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

বিএনপির নেতা বলেন, ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে ফেলা হচ্ছে? পৃথিবীর কোথাও তো এমনটি করা হয় না। গণতন্ত্র মানেই সংস্কার।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে নদীর প্রবল স্রোতের মতো একটি পদ্ধতি, একটি ধারাবাহিকতা। যে নদীর পানি যত খরস্রোতা সেই নদীর পানি তত স্বচ্ছ। কারণ সেখানে কোনো ধরনের আবদ্ধতা তৈরি হয় না।

রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সরকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নামে পরিকল্পিতভাবে মুখোশ বা মুখাকৃতি ব্যবহার করতো। সেখানে পরিকল্পিতভাবে দাড়িওয়ালা-টুপিওয়ালাদের বিকৃত করা হতো কেন? সব দাড়িওয়ালা-টুপিওয়ালা তো স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেননি।