
জাতির সংবাদ ডটকম।।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, ইসলাম বিদ্বেষী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের উদ্যোগ না নিয়ে বরং বিতর্ক জারি রাখা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সঠিক হচ্ছে না। উক্ত কমিশন বিরোধী আলেম-উলামা ও ইসলামী ব্যক্তিবর্গকে নারীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী হিসেবে চিত্রিত করার অপচেষ্টা চলছে। নারী-পুরুষকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে একদল অর্বাচীন এই বিষয়ে জলঘোলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ ইসলামে নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক, একের উপর অন্যের অধিকার রয়েছে।
ইতিমধ্যে বিজ্ঞ নারী-পুরুষ স্কলারবৃন্দ বিভিন্ন আলোচনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে উক্ত কমিশনের প্রস্তাবনাগুলোর মৌলিক ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে স্পষ্ট যে, এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আঘাত দিয়ে প্রণীত প্রস্তাবনা সমূহ কোনভাবেই এখানে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আমরা অবিলম্বে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা সমূহ বাতিল চাই।
বৈঠকে পাক-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, আধিপত্যবাদী ভারত প্রতিবেশী পাকিস্তানের মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সে দেশের সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়েছে। মূলত ভারতের মোদী সরকার কাশ্মীরের পেহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থতার দায় এড়ানোর জন্যে এই আগ্রাসন চালিয়েছে। আমরা উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে উভয় দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
বৈঠকে আরো বলা হয়, ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা প্রশাসনের কার্যকর তৎপরতা কামনা করছি। বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা সহ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশ্রস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন এবং দেশের সক্ষম সকল নাগরিকের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ¦ নুর হোসেন, আমির আলী হাওলাদার, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।