জাতির সংবাদ ডটকম।।
ফরিদপুর- ১ (বোয়ালমারী,মধুখালী ও আলাফাডাঙ্গা) থানার বাসিন্দারা বিএনপি নেতা নামধারী নাসির উদ্দিন নাসির ও নাজির উদ্দিন নাজির এর ত্রাসের রাজত্ব থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি’র হাই কমান্ডের দৃষ্টি প্রার্থনা।
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কে.এইচ.কে লিমিটেড এর চেয়ারম্যান খন্দকার আঃ আউয়াল এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফরিদপুর-১,বোয়ালমারী,মধুখালী ও আলফডাঙ্গায় উপজেলায় বিএনপি’র নামে চলছে চাঁদাবাজি,ভূমি দখল,কিশোরগ্যাং প্রতিষ্ঠা,হুমকি-দমকি,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা,দখল,সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এক ত্রাসে রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি দলের ১৫ দিনের এক সাবেক এমপি,কৃষক দলেরর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নাসিরুল ইসলাম (নাসির) ও তার ভাই নাজিরুল ইসলাম (নাজির)। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়িনি বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশ নেত্রী বেগম খালেদাজিয়ার গনিঠজনরাও। থানায় মামলা করতে গেলেও তাদের ভয়ে মামলা নিতে সাহস পায়নি পুলিশ প্রশাসন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভূক্তভোগী পরিবার থেকে সাধারণ ডায়রী ও অভিযোগ দায়ের করা হলেও নাই কোন প্রতিকার। অভিযোগকারী পরিবার রয়েছে ভয়ভীতির মধ্যে। সাংবাদিক তাদের দুই ভাইয়ের কর্মকান্ড নিয়ে নিউজ করায় সে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের ভয়ে এলকা ছাড়া। প্রতিকারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর দৃষ্টি আকর্ষনে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
আমি আব্দুল আউয়াল খন্দকার, চেয়ারম্যান কে,এইচ,কে লিমিটেড। স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম পোঃ কাদিরদী, থানা- বোয়ালমারী, জেলা- ফরিদপুর। আমি ব্যাক্তিগতভাবে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও ব্যাক্তিগতভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন সহ সকল বিএনপি রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সাথে পরিচিত কিন্তু আজ এই বৃদ্ধ বয়সে এসে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ফরিপুর-১ আসনে আমার ভূমিক দখল,হামলা ও জায়গা থেকে উচ্ছেদ এর প্রতিকার চাইতেই আপনাদের সম্মুখে আসতে হয়েছে।
কে,এইচ, কে লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হিসেবে আপনাদের অবগতি করছি যে, গ্রাম- মহিশালা, পো-ধোবাঘাতা, থানা- বোয়ালমারী তে অবস্তিত পুকুরসহ দশ (১০) একর আটান্নো (৫৮) শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক কে,এইচ,কে লিমিটেড।০৭/০৯/২০১৭ তারিখে কে, এইচ, কে লিমিটেড, জাশো এগ্রো ফিশারিজ লিমিটেড কোম্পানির কাছ থেকে দশ (১০) একর আটান্নো (৫৮) শতাংশ জমি বোয়ালমারী সাব রেজিস্টার অফিস থেকে দলিল করে নেওয়া হয়, যাহার দলিল নং-৩৭৩৩। দলিল করিয়া নেওয়ার পরে পুকুর সহ দশ (১০) একর আটান্নো (৫৮) শতাংশ জমি আমাদের দখল বুঝিয়ে দেয়।সেই মোতাবেক এলকার জেলে পরিবাদের পক্ষে সুকুমার মাঝির সাথে আমাদের কে, এইচ, কে লিমিটেড এর ০৩ বছরের চুক্তি হয় এবং চুক্তি মোতাবেক মাছ চাষাবাদ করেন।
৫ই আগস্ট ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের পর পার্শ্ববর্তী গ্রামের সাতৈর নিবাসী খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির) এবং তার ছোট ভাই খোন্দকার নাজিরুল ইসলাম (নাজির), গ্রামঃ- সাতৈর পোঃ- ধোবাঘাটা, থানা- বোয়ালমারী, জেলা- ফরিদপুর, বিভিন্ন সন্ত্রাসর রাজত্ব কায়েম করে। সকলের সাথে আমিও তার হাত থেকে রেহাই পাইনি। গত দেড় মাস আগে আমার কে,এইচ, কে লিমিটেড এর অফিসে এসে আমাকে বলে যে, আমারা বিএনপি করি, আমার তিন থানা বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা, আমারই কর্মীদের দেখতে হয়। তাই আমার কাছে ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা দাবি করে না দিলে আমার বড় রকমের ক্ষতিক করবে। আমি উক্ত টাকা দিতে অসম্মতি জানাই, তারই কিছুদিন পর দুই ভাই যোগসাজসনে নাজিরুল ইসলাম (নাজির) যাশো এগ্রো ফিশারিজের ডাইরেক্টর বেগম শামসুন্নাহার এর পুত্র মো: তারেক সাইফুল্লাহ এর নামকরন করে মিথ্যা/ জালিয়াতি চুক্তিনামা করে অথচ মো: তারেক সাইফুল্লাহ গত ০৩(তিন) বছর ধরে দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়া আবস্থান করছে।
নাসির, নাজির সহ নাসিরের লোকজন পুকুরে আসিয়া উক্ত চুক্তি পত্র দেখিয়া পুকুর সহ আসে পাসের জমি দখল নিয়াছে এবং আমাদের কোম্পানির ০৩ (তিনটি) সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে যায় এবং পুকুরের পাশে আমার স্টাফদের থাকার ঘর ০২(দুইটি) ভেঙ্গে নিয় যায় এবং সকল জেলেদের মেরে তাড়িয়ে দেয়। এই বলে হুমকি দেয় যে,ঐ জমির আশে-পাশে দেখলেও তাদের মেরে পুকুরে ডুবিয়ে দেওয়া হবে কেউ জানতেও পারবেনা।
সংবাদ পাওয়ার পর আমার ভাতিজা খন্দকার মারুফ আহমেদ (সাদ), এবং অফিস স্টাফ ২/৩ নিয়ে পুকুরের যায়, যাওয়া মাত্র নাজিরুল ইসলাম (নাজির) হুকুম দিয়া তাদের কিশোর গ্যাং ও হেলমেট বাহিনী আমার ভাতিজা ও অফিস স্টাফদের উপর হামলা চালায়,তাদের আহত করে। তারা হুশিয়ার করে বলে যে, তোদের কাউকে যদি পুকুরের আশেপাশে দেখি তবে প্রানে মেরে ফেলব, লাশ মাটিতে পূতে রাখিব,কোন পুলিশ কিংবা প্রশাসন আমার ভয়ে এই এলাকায়ই আসবেনা। অন্য স্টাফদের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি, হামলায় জড়িত থাকা কিশোর গ্যাং ও হেলমেট বাহিনী কয়েকজনকে আমার ভাতিজারা চিনতে পেরেছে। উক্ত বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে তাদের ভয়ে পুলিশ মামলা নিতে ভয় পায় অবশেষে অভিযোগ দেয়া হলেও নাই কোন পুলিশী পদক্ষেপ। তাই প্রতিকারের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপর্সন এর সুদৃষ্টি কামনা করছি। সাংবাদিক ও প্রশাসন ভাইদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার জন্য আবেদন করছি।
নাসির গংরা গত- ৩১-১২-২০২৪ইং তারিখে সুকুমার মাঝিকে পুকুরে কাছ থেকে বের করে
দেয়, তাহার ৩০ লক্ষ টাকার মাছ পুকুরে চাষাবাদ অবস্তায় রয়েছে, এখন খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির) এবং তার ছোট ভাই খোন্দকার নাজিরুল ইসলাম (নাজির) সহ এর লোকজন থেকে ২/৩ পাতিল মাছের পোনা পুকুরে ছাড়ে এবং পুকুর দখল নিয়ে মিষ্টি বিতরন করে।
উল্লেখ্য যে, নাসির উদ্দিন গংদের সন্ত্রসী কর্মকান্ডের নিউজ মানব জমিন,উত্তরাধিকার ৭১,প্রহর ও রাজধানী টিভিতে প্রচার করায় প্রতিনিধ মোঃ আব্দুলা তুষার এর নামে মিথ্যা মামলা,বাড়ীঘরে হামলা ও পাণনাশের হুমকি দেয়ায় সে এখন এলকাছাড়া। সাংবাদিক তুষার এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানায় ১৭ জনের অভিযোগ দায়ের করেন।
নাসির উদ্দিন নাসির ও নাজির উদ্দিন নাজির এর নামে বোয়ালমারী থানায় সাধারন ডায়রী নং-৯৩১, তারিখ-২২/১২/২০২৪ইং, এবং অভিযোগ দায়ের ২৫/১২/২০২৪ ইং। (কপি সংযুক্ত)
ঘটনায় জড়িত বাক্তি গন হল-
১) খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির) পিতা- মৃত খোন্দকার ফজলুল করিম,
২) খোন্দকার নাজিরুল ইসলাম (নাজির) পিতা- মৃত খোন্দকার ফজলুল করিম ৩। সিদ্দিক মাতুব্বার পিতা- মৃত- নিয়ামত মাতুব্বার ৪) আব্দুল্লাহ শেখ, পিতা- সিদ্দিক মাতুব্বার ৫) মিজান শেখ, পিতা- মৃত-চান মাউন শেখ, গ্রাম- মহিশালা, পো; ধোবাঘাতা, থানা- বোয়ালমারী, জেলা- ফরিদপুর, এদের সাথে আর অজ্ঞাত বহু লোক সম্পৃক্ত।
অতএব, আপনার নিকট আমাদের কে, এইচ, কে লিমিটেড কোম্পানি এর তরফ থেকে অনুরোধ রইলো যে, উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির বাবস্তা করার দাবি জানাচ্ছি এবং আমার জান মালের জন্য আপনার আইনি সহযোগিতা কামনা করি।