জাতির সংবাদ ডটকম।।
সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর ২০২৫) বেলা ১১.১৫ ঘটিকায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত, সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি রাধিকা রঞ্জন পাল ছাবুল, সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুস শহীদ খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিজিত চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সাহেদ আহমদ শান্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সহিদ চৌধুরী, সহ-ধর্ম সম্পাদক মোঃ সালিম আহমদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আল-আমিন আহমদ, শিক্ষা ও সমাজসেবা সম্পাদক মোঃ সুহেল মিয়া, যোগাযোগ ও সমন্বয় সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক কবি কামাল আহমদ, সহ-সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক শংকর বিশ্বাস, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাকের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সহ-ধর্ম সম্পাদক মোঃ তাজউদ্দিন, শিক্ষা ও সমাজসেবা সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, সদস্য মোঃ জুয়েল মিয়া, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জামাল আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিলমনি কান্ত চন্দ, বাংলাদেশ প্রেমী সচেতন নাগরিকদের মধ্য থেকে মোঃ আলী হোসেন, এম.এ. আলী জালালাবাদী, অবিনাশ চন্দ্র দাস, রোকনে আলম চৌধুরী, সুধাংশু শেখর দাস, দ্বীপক রঞ্জন রায় তালুকদার, নাজিম আহমদ, মোঃ সেলিম খান, মোঃ আবু আলেক, জুবায়েল আহমদ, দিলোয়ার হোসেন, মোঃ ফরিদ আলী, রুবেল মিয়া ও শিশু প্রতিনিধি ফয়েজ হাসান।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ ২০২৪ এর ৫ আগষ্টের পর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সহ সবকিছুই বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আবারও অসাধু ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে পড়েছে। সব পণ্যের মূল্য ধীরে ধীরে জনসাধারণে ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে চলে যাচ্ছে। পণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটবাজ ও অবৈধ মজুদাররা সরকারী ঘোষণা ছ্ড়াাই পূর্বেকার সময়ের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছেন। নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেশাজীবী মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগোষ্ঠীর জীবন বিপন্ন হওয়ার পথে। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের মূল্য ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশের সিংহভাগ মানুষ তাদের চাহিদা মেটাতে অক্ষম হয়ে পড়ছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বর্তমানে সাধারণ মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সাধারণ জনগনের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার দৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নিয়মিত নিত্য প্রয়োজনীয় সর্বপ্রকার দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের আয়-রোজগার মূল্যবৃদ্ধি সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা সাধারণ জনগণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধি হলে জীবনমান পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। প্রায়ই পণ্যেরই মূল্য গত ১৫ বছরে এমনিতেই তিন-চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে নতুন করে নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে পড়বে। তাই নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কার্যকর ও দূরদর্শিতাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি আমদানিকৃত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।