নিবন্ধন সনদ ছাড়াই প্রধান শিক্ষক জয়ধন সরকার! 

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৪

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু , হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নে সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়।বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয় জয়ধন সরকার। যিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করেছেন ২০২১ সালে।

 

সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায় ২০১৭ সালে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আতিকুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষক পদে জয়ধন সরকার নিয়োগ নেয়। এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ ব্যতীত কেউ উক্ত পদে কেউ আবেদনই করতে পারবে না। কিন্তু জয়ধন সরকার উক্ত পদে আবেদন করে আওয়ামী ক্ষমতার আশীর্বাদে প্রধান শিক্ষক মনোনীত হয়ে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় কোরাম পূরণের জন্য পরিচিত কয়েকজন প্রার্থী সংগ্রহ করে নিয়োগ পরীক্ষায় বসানো হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী একজনেরও বিএড সনদ ছিল না, যা প্রধান শিক্ষক পদের জন্য বাধ্যতামূল। খোঁজখবর নিয়ে আরো জানা যায় প্রধান শিক্ষক জয়ধন সরকার নিয়োগ পাওয়ার জন্য নিয়োগ বোর্ডকে মোটা অংকের টাকা দেয়।

এই অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে এতদিন কেউ কথা না বলতে পারলেও কয়েকদিন আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জনাব মনসুর বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এখন বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সচেতন মহলের দাবি এই অবৈধ প্রধান শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

 

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জয়ধন সরকার বলেন,জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্তে যা হয় তা মেনে নিব।

আবেদন পত্রে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে অভিযোগকারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তদন্ত করলেই নিবন্ধন সনদ কেলেঙ্কারি এবং অবৈধ নিয়োগ বোর্ডের সকল তথ্য বের হয়ে আসবে।কোনো অনৈতিক চাপে তদন্ত যেন বন্ধ না হয় আমি আপনার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।

জেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল্লাহ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলে আবেদনের আলোকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।