নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে দ্রুতই সার্চ কমিটি: মাহফুজ আলম

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃনির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের জন্য দ্রুতই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, কারা নির্বাচন কমিশনার হবে তা সার্চ কমিটি ঠিক করবে। এরপর ইসি পরবর্তী সংস্কারগুলো করবে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ইলেকশন কমিশন গঠনে দ্রুত সার্চ কমিটি হবে। পাশাপাশি হালনাগাদ ভোটার তালিকা হবে।

অংশীজনদের সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ সংলাপে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ বিষয়ে মাহফুজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলোর নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে কথা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের গণহত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গণহত্যার উসকানিদাতা ও বর্তমান দ্রব্যমূল্য বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও শরিক দল নিষিদ্ধের বিষয়েও কথা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আওয়ামী লীগের তিনটি অবৈধ পার্লামেন্ট নিয়ে আজকের বৈঠকে কথা হয়েছে। এটা বাতিলের বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি নীরব সমর্থন দিয়েছে এবং ভোটে অংশ নেয়। জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং গার্মেন্টসের সমস্যা স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এরই মধ্যে অগ্রগতি হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন ব্যক্তি এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন।

এদিন ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ করেন। এ দফায় গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম মোর্চা, লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টি-বিজেপিকে (পার্থ) সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সরকার এরই মধ্যে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে।