আবদুল বাসেদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ব্যবসায় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ইংরেজি ও প্রযুক্তি দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৪) নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশে^র সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলতে হলে গ্র্যাজুয়েটদের প্রত্যেককে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা দক্ষতাসহ প্রযুক্তির নানা দিক বিশেষ করে মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স এর মতো বিষয়গুলো এখন থেকেই রপ্ত করতে হবে। তাহলে নোবিপ্রবি গ্র্যাজুয়েটরা সমাজ, দেশ ও পৃথিবী নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।
উপাচার্য এসময় আরও বলেন, ইউএনডিপি ও বৃটিশ কাউন্সিলের আজকের এ অনুষ্ঠান আমাদের শিক্ষার্থীদের নিজেদের নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ করে দিল বলে আমি বিশ^াস করি। কারণ তারা এর মাধ্যমে কোনো অর্থ খরচ না করে ভাষা ও প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য বৃত্তি পাবে। যার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা দেশে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পাবে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ সময় তিনি ইউএনডিপি ফিউচারনেশন প্রকল্পের অধীন নোয়াখালীতে একটি ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। যেখানে এ অঞ্চলে শিক্ষার্থী ও বিদেশগামী মানুষ বিভিন্ন ভাষা দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে আগামীতে একটি বেটার নোয়াখালী গড়ে তুলতে পারে।
ইউএনডিপির ‘ফিউচারনেশন’ (ঋঁঃঁৎবহধঃরড়হ) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা রাখেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ফিউচারনেশন প্রকল্পের ফ্যাকাল্টি ফোকাল অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান এবং ইউএনডিপি ফিউচারনেশন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ দাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি ফিউচারনেশন ক্যাম্পাস ফ্যাসিলিটেটর মাহমুদুল হাসান।
প্রসঙ্গত, ইউএনডিপির ফিউচারনেশন প্রকল্পের আওতায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ইংরেজি ও প্রযুক্তি দক্ষতা বিষয়ক কর্মসূচিসমূহে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। এক হাজার শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেয়া হবে।