আবদুল বাসেদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি -নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রস্তাবিত সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের জন্য বরাদ্দকৃত জমি পরিদর্শনে গিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৪) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত এ ১৫০ একর জমি পরিদর্শনে যান তিনি।
পরিদর্শনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোঃ জিয়াউল হক ও সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তর, উপ-উপাচার্য দপ্তর, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর এবং রেজিস্ট্রার দপ্তরের এস্টেট এন্ড হাউজিং ও আইন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ‘ব্লু ইকোনোমি’ বিষয়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করতে আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনার আলোকে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় সুবর্ণচর উপজেলায় সরকার কর্তৃক ১৫০ একর জমি বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি, যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দকৃত জমি হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে এখানে সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার জন্য ৪৫০ একর খাস জমি সরকারের কাছে বরাদ্দ চায় নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ওই আবেদনের ভিত্তিতে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫০ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পাশাপাশি ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর নোবিপ্রবিতে সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট খোলার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।