নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত বিএনপি নেতাদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

 

 

আবদুল বাসেদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়ায় চাহিত চাঁদার ২ লাখ টাকা না পেয়ে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ এওজবালিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ক্বারী আতিক উল্যার নির্মাণাধীন দোকান ভাংচুুর ও নির্মাণসামগ্রী লুটের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার(২৩শে জানুয়ারী) বিকেলে নোয়াখালী সদর উপজেলার জমিদারহাট বাজারে ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ নোয়াখালী সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, নোয়াখালী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ডা. আবদুল মুকিত,নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ শাখার সহ-সম্পাদক মাওলানা কাউসার আহমেদ, এওজবালিয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন ও ভুক্তভোগী ক্বারী আতিক উল্যার ছেলে হাফেজ মাহমুদুল হাসান জাবেদ সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। অনতিবিলম্বে এদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে বিএনপি এর দায় এড়াতে পারবে না।

জানা যায়, গত ৫ই জানুয়ারী স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মহিন উদ্দিন,যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন লিটন, ওমর ফারুক মিলন ও নছির আহমেদ সহ সঙ্গবদ্ধ কয়েকজন ব্যক্তি জমিদার হাট বাজার রাইস মিল সংলগ্ন দোকানের নির্মাণকাজে বাধা দিয়ে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর নেতা আতিক উল্যার নিকট নির্মাণ বাবত ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু ভুক্তভোগী তাদের চাহিত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার রাতে নির্মাণাধীন দোকান ভাংচুর করে এবং সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় স্থানীয় এ সন্ত্রাসীরা।

এঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার সকালে জড়িতদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। আটককৃত যুবককে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের ধারায় মামলা দিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।