জাতির সংবাদ ডটকম।।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের পদবি ও বেতন বৈষম্য নিরসনকল্পে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি করেন সংগঠনের সভাপতি আবু নাসির খান।
উক্ত সভায় সংগঠনের সভাপতি আবু নাসির খান বলেন, সারা দেশে এক ও অভিন্ন পদবি ছিল কিন্তু তৎকালিন সরকার নির্বান্ধী আদেশে ১৯৯৫, ১৯৯৭, এবং ১৯৯৯ সালে প্রজ্ঞাপন দ্বারার শুধু সচিবালয়ের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, বাজেট পরীক্ষক পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্টেনোগ্রাফার পদটি ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নামে পদবি পরিবর্তনসহ বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে প্রজাতন্ত্রে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি করে। যার ধারাবাহিকতায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি), সুপ্রিমকোর্ট, গণভবন ও বঙ্গভবন এর প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। অন্যান্য দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা, স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বর্ণিত পদবিগুলো অদ্যাবধি পূর্বাবস্থায়ই রয়ে গেছে যা সংবিধানের চরম লঙ্ঘন এবং সুস্পষ্ট বৈষম্য। এই বৈষম্য নিসনের জন্য বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ ২০০৯ সাল হতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন, প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, কালোব্যাজ ধারণ ও অবস্থান কর্মসুচীসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। এতদবৈষম্য নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩ বারের সুপারিশ থাকা সত্বেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দীর্ঘ ৩০ বছরের বৈষম্য নিরসন না করে পত্র চালাচালির মাধ্যমে কালক্ষেপণ করে আসছে বর্তমান বাংলাদেশে এই বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। সচিবালয়ের ন্যায় পদবী ও বেতন বৈষম্য নিরসনে ঈদের পূর্বে সচিবালয়ের চতুর্দিকে প্রদক্ষিন ও ঈদের পরে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান থাকবে।
সংগঠনের মহাসচিক জনাব মোঃ বেল্লাল হোসেন বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বহুবার কমিটি গঠন করে নথি চালাচালি করলেও এক পর্যায় এসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব দাবীটি নাকোচ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়ে দেন। এতে করে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা পদবি বৈষম্য হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমান সরকার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদবি ও গ্রেড ভূতাপেক্ষাসহ পদোন্নতি ও আপগ্রেশন করা হচ্ছে। কিছু প্রধান সহকারী, সহকারী, উচ্চমান সহকারী, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক ও সমপদের পদবি আগামী রমজানের ঈদের পূর্বে বাস্তবায়ন না হলে, ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে নেত্রীবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ এনামুল হক মজুমদার, মোঃ শাহাদৎ হোসেন, মোঃ জাহিদুর রহমান, রবিউল ইসলাম জোয়াদার, রোকন উদ্দিন, ছালেহা খাতুন, মৃনালিনী বাড়ে, আশিকুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল হোসেন, মহসিন মিয়া, আজিজ উদ্দিন মিয়াজি প্রমুখ নেত্রীবৃন্দ।