নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডারসেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা আসে। এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। দিল্লি সফর শেষে তিনি একই দিন বিকেলে ঢাকায় পৌঁছেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর সহযোগিতা নিয়ে আলাপ হয়েছে। পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সঙ্গে, বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা। দ্বিতীয় বাণিজ্যের, আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন এবং বাণিজ্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোব, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
ইউএসএআইডির সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে যে চুক্তি হয়েছিল তার সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল তার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়েছে। তার মানে আরও বাড়তি টাকা তারা দেবে।
কর সংস্কারের বিষয়ে আলোচনার প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, সব আলাপ হয়েছে।
এদিকে, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক নিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক বার্তায় জানায়, বাংলাদেশের নব উদ্যমে প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়াকে আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করব।
এ লক্ষ্যে শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়নকে ঘিরে তাদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে আমাদের সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।