সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা:

পাবনা সাঁথিয়ার করমজা চতুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের দায়ে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। বেশী টাকা আদায়ের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় উপস্থিত ক্রেতাদেরকে অতিরিক্ত আদায়কৃত হাসিলের টাকা ফেরৎ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই পশু হাটে গিয়ে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত খাজনা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় সাঁথিয়া উপজেলা সহকারি (ভুমি) সাদিয়া সুলতানা ও সেনাবহিনী একটি টিন তাৎক্ষণিক২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ইজাতদাররা মাইকিং করে আড়াই শতাধিক পশু ক্রেতার অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেন।

তবে অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রশাসন থেকে বেধে দেওয়া নির্ধারিত খাজনা না নিয়ে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে করমজা চতুর হাটে ইচ্ছেমতো বড়-ছোট গরু ১২শ’ ছাগল ৭শ’ মহিষ ১৫শ’ টাকার খাজনা আদায় করা হচ্ছিলো। এছাড়া হাটে আগত বিক্রয়কারীদের নিকট থেকে পশু প্রতি ৫শ’ টাকা আদায় করা হচ্ছিলো। হাটে আগত ক্রেতাসাধারন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশুর হাট গুলোতে কোন মনিটরিং না থাকায় হাট ইজারাদাররা ইচ্ছামত হাসিল আদায় করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলার সিএন্ডবি চতুর হাটে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের দায়ে হাট ইজারাদার ইদ্রিস সরদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইজারাদাররা ভবিষ্যতে সরকার নির্ধারিত খাজনার বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নিবে না বলে সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশ্রুতি দেন।

সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা জানান, অতিরিক্ত হাসিল/খাজনা আদায়ের অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মাইকিং করে সরকার নির্ধারিত টাকা হাসিল আদায়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঈদ উল-আযহার আগ পর্যন্ত সাঁথিয়া উপজেলার সকল পশুর হাটে মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।