পিবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী পেলেন অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার মেধাবৃত্তি

বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৪, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।।

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগে ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে ৫ শিক্ষার্থীকে অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদারের পৃষ্ঠপোষকতায় অদ্য ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট ও এককালীন নগদ অর্থ তুলে দেন।

অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী হলেন- মুমতাহিনা রহমান, আসিফ আকতার, সাবির মাহমুদ, মো. মাহিদুল ইসলাম ঈমন ও মোসা. সাওদা খাতুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য নবপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি প্রদানে পৃষ্ঠপোষকতা করায় অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এমন আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার জন্য ও ভালো ফলাফল করার জন্য উৎসাহ যোগাবে। তিনি বৃত্তি না পাওয়া শিক্ষার্থীদের আরও আন্তরিকতার সাথে পড়াশোনা করার এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।

এ সময় মাননীয় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগেও বৃত্তি চালুর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের আহ্বান জানান। এ ছাড়া মেধাবৃত্তির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও আর্থিক সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দেন। এজন্য তিনি সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুছা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আকতার হোসেন, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক রেহানা আক্তার তামীম বক্তব্য রাখেন। তারা এ ধরনের আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার এবং উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ড. মো. মুছা খানকে ধন্যবাদ জানান।

ড. মো. মুছা খান বলেন, আজকের আয়োজনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গর্বের ও অনুপ্রেরণার। প্রথম ব্যাচের জন্য আমরা প্রথমবারের মতো বৃত্তির ব্যবস্থা করতে পেরেছি। এটা সকলের জন্যই অনেক স্পেশাল। যারা আজ বৃত্তি পেয়েছে তারা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর যারা আজ বৃত্তি পেল না তারা এই আয়োজন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে ভালো করবে।