
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ।। ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জে জগথা কলপাড় এলাকায় এক অসহায় দরিদ্র ভ্যানচালকের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আকুতি করেছেন দানশীল ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা ব্যহত হওয়ায় তিনি সুস্থ্য হবেন কিনা না একমাত্র বড়লাই বলতে পারেন। না তাকে স্টকে করে প্যারালাইসিসে মৃত্যু বরণ করতে হবে তা নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। পরিবারও নিঃস্ব হয়েছে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে। কয় মাস খানে ধরে বাড়িতেই চিকিৎসা অভাবে দিন কাটাচ্ছেন। মোঃ জুয়েল রানা (৩৫), পেশায় একজন ভ্যান চালক। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাবার পাওয়া মাত্র দুই শতক জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছেন। একমাত্র পীরগঞ্জে জগথা কলপাড়া এলাকায় কাজ করে তার স্ত্রী জীবন জীবিকা চালিয়ে আসতো। জুয়েল রানা ৩৫ কোন রকম ভ্যান চালিয়ে স্ত্রী ও কন্যা ছেলে সন্তান নিয়ে সংসার চালাতো। বড় মেয়ে পীরগঞ্জ বনিক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণীতে পড়েন আর আর ছেলে ক্লাস সিক্সে পড়েন। হঠাৎ করেই বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে বেড়াতে গিয়ে স্টক করেন জুয়েল রানা। কিন্তু ভাগ্যকে নির্মম পরিহাস থমকে দিয়েছে থমকে দিয়েছে জুয়েল রানার সংসার জীবন টেনে হেচড়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছেন জুয়েল রানার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে।
এ বছর এপ্রিল রমজানের শুরুতেই হঠাৎ স্ট্রোক করে বসেন, স্টকে জুয়েল রানার এক্সাইড ব্লক হয়ে যায় ও কোমর থেকে দুই পা অবশ হয়ে যায়।
তার তার উপার্জনের একমাত্র ভ্যানে ছিল শেষ সম্বল সেটি বিক্রি করে জুয়েল রানার চিকিৎসার জন্য। এখন তিনি খুবই জটিল হয়ে পড়। শরীরের ভারসাম্য ঠিক নেই মুখে কথাও বলতে পারেন না এক কথায় বলা যায় জুয়েল রানা বাক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অবশ হয়ে গেছে জুয়েল রানাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার এই অসুস্থতার কারণে সংসারচল হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দুটি ভবিষ্যৎ। দুই সন্তানকে পড়াশোনা করাতে পারছেন না অর্থের অভাবে এদিক নিজের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হয় মোটামুটি অর্থ
কোন আয় না থাকায় ভ্যান বিক্রি ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মার্চ মাস হাসাপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার নিয়মিত ডাক্তার দেখানো, পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও ওষুধ খাওয়া অর্থাভাবে ব্যহত হচ্ছে। তার সুস্থ্যতার চেষ্টায় স্ত্রী ও সন্তান ধার, ঋণ করেও সফল হচ্ছে না। কারণ যেভাবে অর্থের দরকার সেভাবে অর্থ না থাকায় এক প্রকার দায়সারাভাবে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে। ফলে জুয়েল রানা সুস্থ্যতা নিয়ে হতাশা দিন কাটছে। স্ত্রী মোছাঃ মিলি আক্তার বলেন, স্বামী শরীর ভালো ছিল সবল ছিলো, সে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতো। কিন্তু স্টক আর প্যারালাইসিস সব কেড়ে নিলো। সব ভ্যান বিক্রি ও ধার, ঋণ এলাকার লোকজনের সহযোগীতায় তার চিকিৎসায় লাখ টাকারো বেশী টাকা খরচ হলো কিন্তু সুস্থ্য হলনা। সুস্থ্য হওয়ার জন্য এখন তার নিয়মিত পরীক্ষা ও ওষুধ খেতে হবে। দিনে হাজার বারোশো টাকার মত ওষুধ লাগে। এ টাকা কিভাবে যোগাড় করি। টাকার অভাবেই মনে হয় তার ওষুধ কিনতে পারছি না। এ দুনিয়ায় অনেক মানুষ আছে যারা অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসে। আমি তাদের কাছে আকুতি করছি আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য আমি আপনাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি । আমার নগদ নম্বর-০১৮২১৭০১১৪৩০ অথবা আমার শুভাকাঙ্ক্ষীর বিকাশ নম্বর – ০১৭৪৩০১৪৬২৪।