
ক্রীড়া ডেস্ক: মাত্র ২৯ বছর বয়সে নিকোলাস পুরান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। তাদের মাঝে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি। এমন কিছুর আভাস আগেই পেয়েছিলেন তিনি। ক্যারিবিয়ানদের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের শঙ্কা, আরও অনেকেই অনুসরণ করবেন পুরানের পথ।
স্যামির ধারণা, পুরানের পথ অনুসরণ করবেন আরও অনেকে। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, আরও অনেকে এই পথ অনুসরণ করবে, এমন কিছু ভাববে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা এখন এমন, বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই সেটা হলো, আমাদের ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের জন্য খেলতে অনুপ্রাণিত রাখার চেষ্টা করতে হয়, তাই আমি অবাক হইনি।
গত সোমবার হুট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কখনও টেস্ট খেলেননি তিনি। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন দুই বছর আগে। তবে টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ছিলেন পুরান। এই সংস্করণে দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাকে রেখে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা করছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু বৈশ্বিক আসর শুরুর ৮ মাস আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই পথচলা থামিয়ে দিলেন তিনি।
২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যার নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই স্যামি বললেন, পুরানের অবসরের ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিলেন তিনি। তাই পুরানকে ছাড়াই সামনের পরিকল্পনা এরই মধ্যে শুরু করেও দিয়েছেন সাবেক অলরাউন্ডার।
তিনি জানান, আমার মনে হচ্ছিল, এমন কিছু ঘটবে। নিকোলাস আমাকে একটা বার্তা পাঠিয়েছিল, তার এজেন্টের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে…যখন (পুরানের সঙ্গে) যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে কথা বলি এবং আমাদের আলোচনা হয়, আমি তাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম, ‘তুমি কি কেবল যুক্তরাজ্য সফরে থাকবে না, নাকি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য?’ এরপর আমি যে উত্তর পেয়েছিলাম, আমি বুঝে গিয়েছিলাম আমাকে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
স্যামি আরো বলেন, আসলে তার মতো প্রতিভাকে দলে পেতে আমি চাইব। কিন্তু কারো ক্যারিয়ার আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না এবং পারবও না… আমি তাকে শুভকামনা জানিয়েছে, সেও দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছি। এখন পুরানকে ছাড়া সামনের পথচলার জন্য আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। সামনে বিশ্বকাপ, আমরা যেন তাকে ছাড়া পরিকল্পনা করতে পারি, সে জন্য অনেক আগে সে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, আমি এই বিষয়টিকে সম্মান করি।
স্যামির মতে, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছা আর আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে কাউকে জোরাজুরির করার সুযোগও দেখেন না তিনি।