পুলিশ সদস্যদের সহধর্মিণীরা শুধু তাদের স্বামীদের সহযোগিতা ও সাহস দেন না, সংগঠনটির (পুনাকের) মাধ্যমে তারা নানাবিধ কাজ করেন। সমাজের নানা ধরনের কাজে অংশ নেয়। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করছে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন তাদের সহধর্মিণীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে পুনাকের বার্ষিক সমাবেশ ও আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে তার ঘর। সেখানে শান্তি, অনুপ্রেরণা থাকলে মানুষ বাইরে তার কাজের জায়গায় সাফল্য লাভ করে। কাজেই ওই সাফল্যের স্ত্রীরা বড় অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, কোনো একটি সমাজ, রাষ্ট্রকে এগিয়ে যেতে হলে সেখানে নারী পুরুষের সমান অংশীদার লাগে। সমান অংশগ্রহণ লাগে। অর্ধেক মানুষকে পেছনে ফেলে একটা সমাজ কখনো তার যে সম্ভাবনা আছে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে পারে না।
দীপু মনি বলেন, অনেক নারীকে ‘কি করেন’ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি কিছুই করি না। তার মানে তিনি সবচেয়ে বড়, জরুরি ও সবচেয়ে কঠিন কাজ সারা দিন করেন। সেটা হচ্ছে ঘর, সংসার সামলানো। আজ নারীদের জয় সর্বত্র। নারীরা আজ সব জায়গায় কাজ করছেন। নারীরা এগিয়ে গেছে।
পুনাকের নানা কার্যক্রমের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুনাক নানা ধরনের সামাজিক কাজ করছে। জনসচেতনতার জন্য নানাবিধ কাজ করছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে যা অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী মিসেস লুৎফুল তাহমিনা খান, পুনাকের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আমিন, পুনাকের সহ-সভাপতি মুনমুন আহসান, শারমিন আক্তার খান, মাহমুদা দিদার, দিলরুবা খুরশীদ প্রমুখ।