পোলিও নির্মূলে একসাথে: সিলেটে রোটারির র‌্যালি ও আলোচনা সভা

শুক্রবার, অক্টোবর ২৪, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।।

‘পোলিও নির্মূলে একসাথে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষে রোটারি ক্লাবের আয়োজনে সিলেটে একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট নগরের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা হাতে ‘End Polio Now’ ও ‘পোলিওমুক্ত বিশ্ব চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে জনসচেতনতা ছড়ান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, “আমরা সবাই চাই আমাদের দেশ থেকে পোলিও নির্মূল হোক। এই কর্মসূচি সরকারের, তবে এর অংশীদার হিসেবে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল কাজ করছে—এটি জেনে আমরা আনন্দিত। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো ভালো উদ্যোগে প্রশাসন সব সময় সহযোগিতায় থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “একটি দেশ বা সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে শুধু সরকারের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়; এখানে সমাজের সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশেই পোলিও নির্মূল হয়েছে। এই অর্জনে রোটারির বড় ভূমিকা রয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও তারা সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর লে. কর্নেল (অব.) আতাউর রহমান পীর, কো-অর্ডিনেটর অ্যাডমিন কামরুজ্জামান চৌধুরী রুম্মান, প্রোগ্রাম চেয়ারপারসন সেলিনা আক্তার চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর সিদ্দিকুর রহমান, স্পেশাল অ্যাইড জাকির আহমদ চৌধুরী, কো-অর্ডিনেটর পাবলিক ইমেজ ফাহিম আহমদ চৌধুরী, ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর সার্ভিস প্রজেক্ট অ্যাডভোকেট আবু সালেহ চৌধুরী, জে. এস. আজাদ শিপন, কয়েস আহমদ, মোস্তাক আহমদ, আব্দুল বাছিত, এম. এ. হাফিজ, মাসুদ মো. মঞ্জুর আল বাছেত, তানিয়া আহমেদ, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম চেয়ারপারসন সেলীনা আক্তার চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পোলিও নির্মূলে রোটারির অবদান অনন্য। এই কার্যক্রমের সম্পূর্ণ বাজেট রোটারি থেকে দেওয়া হয়। র‌্যালির মাধ্যমে আমরা চাই সারা বিশ্ব জানুক—পোলিও নির্মূলে রোটারি এখনো অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।”

র‌্যালির পাশাপাশি রোটারি ক্লাব ঘোষণা দিয়েছে, আগামী সপ্তাহে একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ও শিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। এতে স্থানীয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কমিউনিটি সেন্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।