
জাতির সংবাদ ডটকম ডেস্ক।।
আমি সাইফুল ইসলাম সজীব, সম্প্রতি আমাকে জড়িয়ে যে মানববন্ধন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও তথ্য প্রচার করা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এ ধরনের মিথ্যা প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গতকাল ০৬/০৯/২০২৫ ইং রোজ শনিবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির উদ্যোগে/ব্যানারে মানববন্ধন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমি গর্বের সাথে জানাচ্ছি যে-
আমি একজন জুলাই যুদ্ধা, আমি পরিবার-পরিজনসহ মুক্তির আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আমি সর্বদা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আমি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ এবং সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা আমার সামাজিক মর্যাদা, সুনাম ও পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।
আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো-
:
কোনো প্রকার প্রমাণনির্ভর নয়, সম্পূর্ণ মনগড়া ও অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি।
ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হয়েছে।
আমি গত ২৩/০৮/২০২২ ইং তারিখে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি অ্যাপার্টমেন্টে একটি ব্যবহৃত ফ্ল্যাট ক্রয় করি। যেহেতু ফ্ল্যাটটি পুরনো ছিল, তাই আমি নতুনভাবে সংস্কার করি। সংস্কার কাজের সময় ভবনে বসবাসরত সদস্য আওমি লেসপেন্সার হেনোলাস্ক এর মালিক নুরুল আমিন, তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন এবং বাগেরহাটের শেখ হেলালের ভাগিনা মিজানুর রহমান লফিজ বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে। তারা জোরপূর্বক আমার ফ্ল্যাটের সম্মুখভাগের কমন স্পেস দখল করে নেয়। উল্লেখ্য, নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিন ২০১১ সাল থেকে কোনো এ.জি.এম বা নির্বাচন ছাড়াই সভাপতি/সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালন কালে ভবনের ম্যানেজার শামসুদ্দিনের যোগসাজশে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এজন্যই তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চান। তাদের ক্ষমতার দাপটে ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিকগণ ভয়ে ও আতঙ্কে বসবাস করছেন। এই দম্পতি বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠান হেনোলাস্কের নামে মোটা অঙ্কের মুনাফার লোভ দেখিয়ে বহু লোককে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে একসাথে তিনটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। গত ০৬/০৭/২০২২ ইং তারিখে ব্যবসায়ী গাজী আনিস তাদের প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় নুরুল আমিন দম্পতিকে শাহবাগ থানার হত্যা প্ররোচনা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন এবং তারা দীর্ঘদিন জেল খেটে পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদ ও সূত্রে জানা যায়, এই দম্পতির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্থ যোগানদাতা ও অস্ত্র সরবরাহকারীর অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানা ও রামপুরা থানায় দুটি হত্যা মামলা সহ ৮০/৯০টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে দুদকেও একটি মামলা চলমান রয়েছে।
কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি অ্যাপার্টমেন্ট মালিক সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০২৫ সালে আমি সভাপতি পদপ্রার্থী হলে নুরুল আমিন ও তার শ্যালক আজিজুল হক জাকির আমার বিপক্ষে প্রার্থী হন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাদের সদস্যপদ অবৈধ, কারণ সদস্য হওয়ার সময় তারা শাহবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় জেল খাটছিলেন। বিষয়টি আমি জেলা সমবায় কর্মকর্তার নজরে আনলে নির্বাচনী কমিটির তিন সদস্য (শাখাওয়াত হোসেন, শাহজাহান আলি, মনির হোসেন) অবৈধভাবে নুরুল আমিন দম্পতির কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে বৈধতা প্রদান করেন এবং আপিলে তাদের সদস্যপদ বাতিল করার শর্তে আমার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি বাধ্য হয়ে বিষয়টি ০৩/০৬/২০২৫ ইং তারিখে লিখিত ভাবে দুদক চেয়ারম্যান মহোদয়ের নজরে আনি। পরবর্তীতে ১৬/০৬/২০২৫ ইং তারিখে আমার বাংলামোটর অফিসে ঘুষের অগ্রিম ৩ লক্ষ টাকা গ্রহণ করতে আসলে স্থানীয় লোকজন ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতায় শাহবাগ থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বিষয়টি বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। জেল থেকে বের হয়ে মুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিন গং-দের যোগসাজশে আমাকে হয়রানি করার জন্য আজকের এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
আমি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে-
আমি কখনোই সমাজবিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম না, নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না। আমি আইন, সংবিধান ও বৈষম্য বিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক। আমি ব্যবসার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে ভূমিকা রেখে যাচ্ছি।
অতএব, আমি অনুরোধ করছি-
১. আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
২. যেসব ব্যক্তি বা মহল এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।
৩. জনগণকে বিভ্রান্ত না করার জন্য ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার না করতে।
আমি আবারও দৃঢ়ভাবে বলছি যে, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আমার সামাজিক, পারিবারিক ও পেশাগত সম্মান নষ্ট করার অপচেষ্টা।