আসলাম ইকবাল।। ফারহানা শিল্পী একজন প্রতিভাবান সংগীত শিল্পী। শৈশব থেকেই সংগীতে তার হাতেখড়ি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সংগীত চর্চা শুরু। প্রথমে আমি যে প্রতিষ্ঠানে শিখেছি তার নাম মনে নেই। অল্প বয়সে ভর্তি হয়েছিলাম যে, নাম মনে করতে পারি না। পরবর্তীতে সনদিপনে মধুসূদন স্যারের কাছে শিখেছি। আর বর্তমানে স্পন্দন মিউজিক চপল খানের কাছে শিখেছি। বলতে পারেন সব মিউজিক এখন তার হাতেই শেখা। তাছাড়া তার হাত ধরেই মিডিয়াতে আসা। তার সহযোগিতা আমাকে ফারাহান শিল্পী হতে শিখিয়েছে।
বর্তমানে একটাই কাজ সংগীত চর্চা করা। সব সময় সংগীত নিয়েই আছি। পাশাপাশি সংসারের টুকিটাকি কাজ করি নিজের হাতে। ফারহানা শিল্পী স্টেজ প্রোগ্রাম করেন না, তবে ইচেছ আছে। ভালো সুযোগ পেলে স্টেজ প্রোগ্রমে পারফর্ম করবেন। দু’একটা অফার যে আসে তা নয়। আমি চাই একটু ভালো অফার। কারণ আমার প্রতিভা দর্শনের সামনে সরাসরি উপস্থাপন করবো। সেই পরিবেশটা একটা ভালো অবশ্যই হতে হবে। এটা সবাই চাই। সংগীতের পাশাপাশি অন্য কিছু করার চিন্তা আছে কি না? জবাবে ফারহানা শিল্পী বলেন, টাংকিবাজ-১ ও টাংকিবাজ-২ নামে দুটো নাটকে অভিনয় করেছি। নাটক দুটো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাছাড়া ময়নামির পরকিয়া নামে আরেকটি নাটকে কাজ করেছি। সব বিচার দর্শকদের হাতে। চোট একটা সংসার নিয়ে ফারহানা শিল্পীর বসবাস। একমাত্র পুত্র সন্তান, স্বামী আর মা-কে নিয়ে দিন চলে যায়। অবশিষ্ট সময়ে সংগীত চর্চা চলে। সংগীতের প্রতি তার আন্তরিকতা ভীষণ। এমন কি তার পরিবারের সদস্যরাও আন্তরিক। তার স্বামী সংগীত প্রিয় একজন মানুষ। বলতে পারেন তার অনুপ্রেরণায় এতদূর আসা। সংগীতকে আপনি কিভাবে দেখেন? আমি মনে করি সংগীত মানে সাধনা বললেন ফারহানার ভাসায়, সংগীত অনেকে যত সহজ মনে করেন আসতে তত সহজ নয়। একটা গান দর্শকের মনকে স্পর্শ করা অত সহজ ব্যাপার নয়। গানের অনেক কাজ থাকে। সেগুলো ঠিকঠাক মনে না হলে গান মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে না। এই জন্য গান এখনো শিখছি। আসলে শিখার কোন বয়স নেই। বাংলাদেশের সংগীত চর্চা কেমন চলছে? জবাবে ফারহানা শিল্পী বলেন, ভালো, কারণ যারা সংগীত চর্চায় আছেন। তারা তালিম নিয়ে শিখে আসছেন। তবে প্রতিভার বিকাশ অবশ্যই ঘটবে। আপনি কি সংগীত চর্চা নিয়ে থাকবেন? হ্যাঁ, এটা আমার সাধনা বললেন ফারহানা শিল্পী। তার সাধনা পূরন হবে তখন যখন ভক্তদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমাকে ছুঁয়ে যাবে। সাধনা ছ্ড়াা সংগীত চর্চা হয় না।