জাতির সংবাদ ডটকম: সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে কাফনের কাপড় ও ধারালো চাকুসহ গ্রেফতার শহিদুজ্জামান ওরফে রাজিবের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে নয়জনকে।
মামলায় অভিযুক্ত রাজিব মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার ইমাম হোসেনের ছেলে। তিনি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা যায়। আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত ৪ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল আলম তপু আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তত হওয়ায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামি রাজিব সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো রকম অনুমতি ছাড়া চাকুসহ প্রবেশ করেন। যা উক্ত স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ এবং একটি অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করে বলে সাক্ষ্য প্রমাণে প্রতীয়মান হয়েছে। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মানিকগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ শেখ হাসিনার জন্মদিনে কেক কাটার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু কন্যার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাতও করা হয়। সভায় মৎস্য ও পরিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এ আলোচনা সভা থেকে কাফনের কাপড় ও ধারালো চাকুসহ শহিদুজ্জামানকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। পরের দিন ২৯ সেপ্টেম্বর আসামি শহিদুজ্জামানকে রাজধানীর শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই বছরের ২ অক্টোবর আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।