নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গতকাল অন্তবতী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে অনেকে আশান্বিত, তবে আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নির্বাচনের রূপরেখা দিবেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি , কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাক না যাক সেটা বিষয় না। তবে আজকে যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশকে যারা সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে তখন তারা পিছিয়ে যাবে কারণ তখন জনগণের সমর্থন থাকবে। সংস্কার আমরা চাই না শুধু আমরা সংস্কার শুরু করেছি। আমরাই সংস্কারের উদ্দ্যোগতা। সংস্কার অবশ্যই চাই এবং আমরা করবো । অনুরোধ জিনিসটাকে যেভেবে করলে সুন্দর হয় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যান ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোন বাধা দেইনি আপনাদের সমর্থন দিয়েছি প্রতি ক্ষেত্রে ,যদিও সচিবালয়ে যারা বসে আছে তারা বিগত সরকারের দোসররা। কীভাবে কাজ করবেন তারাই তো সংস্কার করতে দিবে না। সমস্ত আমলা বসে আছে যারা স্বৈরাচারের দোসর কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। তাদের ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি না। এগুলোকে দৃশ্যমান করেন। আর প্রশাসনের নজর দিতে হবে। জিনিসপত্রের দাম এতো বেড়েছে যে স্বস্তি পাবার সুযোগ নেই। তারপরেও মানুষ মেনে নিচ্ছে, কারণ আপনি একটা সুন্দর জিনিস দিবেন তাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। সিনেডেকেটগুলোকে ভাঙ্গার চেষ্টা করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা অবশ্যই সংস্কার চাই। তবে তা অবশ্যই যোক্তিক সময়ের মধ্যেই। দেরি করলে জনগণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হবে। তারা ভাববে অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। তিনি বলেন, এই মূহর্তে দেশে একটি নির্বাচন দিতে হবে। আমি কেন নির্বাচনের কথা বারবার বলছি কারণ নির্বাচন দিলে আমাদের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বিএনপি ক্ষমতায় যাক না যাক গেট ইজ ইম্ম্যাটেরিয়াল।
বিএনপির মহাসচিব শংঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে নির্বাচনের একটা রূপ রেখা দিলে কারণ ওই সরকারের পিছনে জনগণের সমর্থন থাকবে এই বিষয়টা আমাদের চিন্তা করতে হবে।