ফরমায়েশী আদেশে সাজা দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবে না

রবিবার, আগস্ট ২০, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম।।
বরেণ্য সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দুই সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দেওয়া রায় প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, ফরমায়েশী আদেশে সাজা দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন দমানো যাবে না। তারা ডিইউজে নির্বাহী পরিষদ সদস্য কারাবন্দী তালুকদার রুমির মুক্তি এবং সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার বিচারসহ সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানান।অন্যথায় সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।

আজ রোববার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং
সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি
আবদুল হাই শিকদার, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদেও সদস্য সচিব ও ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কাদের গনি চে․ধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসিন, ডিইউজে সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, সাবেক সহসভাপতি শাহীন হাসনাত ও বাছির জামাল, ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রফিক লিটন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ডিএম
আমিরুল ইসলাম অমর,নির্বাহী পরিষদ রাজু আহমেদ, ফখরুল ইসলাম, এমএ নোমান, মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমূখ।

 

সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ারস এসোসিয়েশন বাংলাদেশের নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নেতা আবু হানিফ প্রমূখ।

রুহুল আমিন গাজী বলেন,বর্তমান সরকারের একটাই উদ্দেশ্য তা হলো যারাই তাদের বিরোধিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া। মাহমুদুর রহমানএবং শফির রেহমানের বিরুদ্ধেও তাই করা হয়েছে। ওই সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাননি এরপরও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সংবাদপত্র দলনের ইতিহাস টেনে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ই জুন তল্পিবাহক ৪টি পত্রিকা রেখে সব গনমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালেও ক্ষমতায় এসে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদেও ওপর নির্যাতন করে। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে ৫৯ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে।অসংখ্য সাংবাদিক নিপীড়িত হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যকারীদের বের করতে পারেনি। এমনকি পুলিশ নামাজ পড়তেও বাধা দেয়। তিনি সংবাদপত্রের
স্বাধীনতার জন্য জনগন এবং সাংবাদিকদের একাকার হয়ে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।

 

 

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতেই সাংবাদিক সমাজকে সাজা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে বিচারপতিরা দলদাস হিসেবে
কাজ করছে। তাই সরকার বিচারবিভাগকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জনগনের হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান
জানান।

 

সভাপতির বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমানকে সাজা দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে
এই ফরমায়েশি রায়। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিতে জানে। মনে রাখতে হবে এই বিচার শেষ বিচার নয়।

 

 

আবদুল হাই শিকদার বলেন, মাহমুদুর রহমানরা দেশের সার্বভে․মত্ব আর গনতন্ত্রের জন্য জীবন বাজি রাখেন। আর এদেশের বিচারকরা জয়ের পেছনে ঘুরেন। বিষয়টি লজ্জার। মাহমুদুর রহমানদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় প্রমাণ করে তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক। দেশপ্রেমিকরা শত শত বছর বেচে থাকেন।আর বিশ্বাসঘাতকরা ধিক্কার পায়।

 

 

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম বলেন, ফরমায়েশী রায় দিয়ে দেশের খ্যাতনামা সাংবাদিকদের জেলা খাটিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বেগম
খালেদা জিয়া আজ বন্দী জীবন যাপন করছেন। তাদের মুক্তির জন্য সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাকের হোসেন বলেন, কোন পাগল-কিংবা ছাগলও বিশ্বাস করবে না যে, মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান জয়ের অপহরণের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।
তিনি ফরমায়েশি রায় প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সহসভাপতি রফিক মোহাম্মদ,আমিরুল ইসলাম কাগজী মোদাব্বের হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দীন দরবেশ, আবদুল্লাহ মজুমদার, নূরুল হোসেন কাইয়ুম , শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির , রাসেল আহমেদ , মোঃ মতিউর রহমান সরদার, মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমূখ।