ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভিডব্লিউবি উপকারভোগীরা

মঙ্গলবার, জুন ৩, ২০২৫

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সদর উপজেলার ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভিডব্লিউবি ০৩ জন উপকারভোগী গতকালকে ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তথ্য সূত্রে জানা যায় কালাদরাপ ইউনিয়নে গত ০৫ মাস যাবত বিভিন্ন সমস্যাজনিত কারণে ভিডব্লিউবি উপকারভোগীদের মধ্যে সরকারি চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। গতকাল এক সাথে সরকারিভাবে ০৫ মাসের চাউল বরাদ্দ আসলে এবং বিলি করলে ইউনিয়নের সমস্ত উপকারভোগীরা তাদের চাউল যথাযথভাবে তাদের নামে ইস্যুকৃত কার্ড প্রদর্শন করে উত্তোলন করেন। এক পর্যায়ে কালাদরাপ ইউনিয়নের রামহরিতালুক এর নাছরিন আক্তার, কার্ড নং-১৪৭, তাছলিমা বেগম, কার্ড নং-৬৫, সুমি আক্তার, কার্ড নং-৩৬ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মোঃ ইউসুফ এর মাধ্যমে সুমি আক্তারের ছেলেকে সঙ্গে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাউল উত্তোলন করে রামহরিতালুকস্থ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলে পথি মধ্যে সুমি আক্তারের ছেলেকে সহ কিছু লোকজন চাউলের রিক্সা আটকিয়ে ফেইজবুক লাইভ শুরু করেন চুরি করা চাউল আটক করেছেন বলে। তখন সুমি আক্তারের ছেলে চাউলের সাথে তার পরিচয় দিয়ে সুমি আক্তারকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে সুমি আক্তার সহ অন্যান্য ২ জন উপকারভোগী এলে ফেইজবুক লাইভকারীরা উপকারভোগীদের চাউল হস্তান্তর করেন এবং ভুল হয়েছেন বলে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে ভাইরাল হওয়ার ভিডিওর জন্য গতকালের পর থেকে গ্রাম পুলিশ ইউসুফ ও উপকারভোগীদের কাছে বিভিন্ন লোকে মোবাইল ফোনে ও স্ব-শরীরে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, এতে উপকারভোগীদের ও গ্রাম পুলিশ ইউসুফের মানহানী ঘটছে বলে অভিমত প্রকাশ করছেন উপকারভোগীরা। এই প্রতিবেদক বিষয়টি জানতে উপকারভোগীদের সরেজমিনে রামহরিতালুক এর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে উপকারভোগীরা বলেন গ্রাম পুলিশ ইউসুফ আমাদের স্থানীয় হওয়ায় এবং আমাদের বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ৬ কিলো দূরত্ব ও অধিক বৃষ্টি বাদলের কারণে আমাদের কার্ডগুলো ও আমাদের এক উপকারভোগীর সন্তানকে ইউসুফের সাথে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইউসুফ চাউল উত্তোলন করে আমার ছেলে সাথে নিয়ে নিয়ে যাওয়া রিক্সাতে চাউল বাড়িতে আনতে তুলে দিলে পথি মধ্যে কিছু লোকজন চোরা চাউল মনে করে আটকিয়ে ফেইজবুকে লাইভ শুরু করে ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রাম পুলিশ ইউসুফকে খবর দিয়ে হেনস্থার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা উপকারভোগীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই ফেইজবুক লাইভ দাতাকে বিষয়টি খুলে বললে, বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায় এবং আমাদের চাউল আমাদেরকে দিয়ে দেয়। কিন্তু ফেইজবুকে লাইভ দেওয়ার কারণে আমাদের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। সাথে সাথে আমাদের উপকার করতে গিয়ে গ্রাম পুলিশ ইউসুফ এরও সম্মান হানী ঘটছে। তাই আমরা এরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়া চাউল সম্পর্কে জানতে এই প্রতিবেদক ৯ নং কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব এর সাথে কথা বলে জানতে পারে সরকারি বিলিকৃত চাউল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রাম পুলিশ ইউসুফ উপকারভোগীদের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে উত্তোলন করে এবং রিক্সায় তুলে দেয়, এতে সে কোনো রকম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়নি। ফেইজবুকে লাইভ করা প্রকাশিত বিষয়টি ভুলবুঝাবুঝি মাত্র। গ্রাম পুলিশ ইউসুফ এর সাথে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে কথা হলে ইউসুফ বলেন উপকারভোগীরা আমার ওয়ার্ডের লোক এবং ০২ জন আমার প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের অনুরোধে তাদের কার্ডগুলো ও ১ উপকারভোগীর ছেলে ও তাদের দেওয়া ০১ জন অটো চালককে নিয়ে আমি চাউল উত্তোলন করে অটোরিক্সায় তুলেদি। তাতে আমি কোনো রকম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়নি।