ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৩৮ সচিব এখও বহাল তবিয়তে

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

 

।। আলীমুজ্জামান হারুন ।।

 

ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া কতিপয় কর্মকর্তার কারণে প্রশাসনে এখানও আশানুরুপ গতি ফেরানো সম্ভব হয়নি । বিগত আওয়ামী আমলে নিয়োগ পাওয়া ৩৮ জন সচিব এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তারা অর্ন্তবর্তী সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে রয়েছেন । এ কারনে প্রশাসনের গতি মন্থর হয়ে পড়েছে । এ ছাড়া রয়েছে প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর ও সুবিধাভোগীরা ।

 

বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদ্য শূন্য হওয়া জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে সচিবের পদ শূন্য। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরিকাল শেষ হবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্লাহ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ।

 

 

এদিকে আওয়ামী সরকারের নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের এখানও প্রশাসনে বহালতবিয়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির নেতাদের প্রশ্ন, আওয়ামী আমলে সুবিধাভোগীরা কীভাবে এখনও প্রশাসনে বহাল? তাদের দাবি, গত ১৬ বছর বঞ্চিত তাদের করে রাখা হয়েছে। কারও কারও পদোন্নতি দেওয়া হলেও ডাম্পিং পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বৈষম্য দূর করার জোর দাবি জানান তারা।

 

আওয়ামী আমলের যারা এখনও বহাল রয়েছেন তারা হলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ড. মো. মুশফিকুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মো. মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কাজী এনামুল হাসান, পরিকল্পনা কমিশনের আরেক সদস্য ড. মোহাম্মদ কাউসার আহাম্মাদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মো. কামরুল হাসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নাসরীন আফরোজ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফরিদ আহম্মেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নাজমুল আহসান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মো. আশরাফ উদ্দিন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, জাতীয় পরিকল্পনা একাডেমির মহাপরিচালক সুকেশ কুমার সরকার, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমির রেক্টর ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নাজমা মোবারেক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসরাত চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ড. মো. সহিদ উল্লাহ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য রেহানা পারভীন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মো. রুহুল আমিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মো. সেলিম উদ্দিন, দুর্নীতি দমন কমিশনের খোরশেদা ইয়াসমীন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের মো. আমিন উল আহসান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাঈদ মাহবুব খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ড. মো. সারোয়ার বারী এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান।