বকশীগঞ্জে দুলাল হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ

মঙ্গলবার, মে ২, ২০২৩

আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধিঃ

 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে টেটাঘাতে খুন হওয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য আবুল কাশেম দুলাল (৫০) হত্যা মামলার সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানবন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নঈম মিয়ার বাজারে নিহত পরিবারের সদস্য ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ ঘন্টাব্যাপী সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় খুনিদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও কিছু সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে জনতা। মানববন্ধন শেষে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জামালপুর পুলিশ সুপার ও জামালপুর জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ আলী,নিহত দুলালের বাবা আব্দুর রাজ্জাক,নিহতের ছোট ভাই রেজাউল করিম,আলী,নিহত দুলালের স্ত্রী মাসুমা বেগাম প্রমুখ বক্তব্য রাখে। নিহত দুলালের বৃদ্ধ পিতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন,আমি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার ছেলেকে তারা অন্যায় ভাবে মেরে ফেলেছে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি। দুলালের স্ত্রী মাসুমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,যারা আমাকে অকাল বিধবা করেছে তাদের যেন দ্রত গ্রেফতার করে ফাঁসির শাস্তি কার্যকর করা হয়। উল্লেখ গত ২৬ এপ্রিল শিক্ষক আমিনুল ইসলামের মোটরসাইকেলে পিষ্ট হয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির ছাগল আহত হয়। এ নিয়ে ওই শিক্ষক লাঞ্ছনার শিকার হন। মুহূর্তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় নিহত আবুল কাশেম দুলাল শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। এর জেরে ২৭ এপ্রিল দুপুরে আবুল কাশেম দুলাল আলীপাড়া দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ বাঙ্গা মিয়াসহ তার সহযোগীরা হামলা করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে নিহতের ছোট ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচুসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে পুলিশ।